১১ পাতার ডেথ-নোট লিখে পুলিশকে দায়ী করে আত্মঘাতী যুবতী
২৬ নভেম্বর : বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ৩৩ বছর বয়সি এক তরুনীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হল তাঁর বাসভবন থেকে। সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে একটি ১১ পাতার ডেথ-নোট। এস জিভা নামের ওই তরুণী তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী করে গিয়েছেন বেঙ্গালুরুর ডিএসপি কনকালক্ষ্মীকে । তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্থা করার এবং ২৫ লক্ষ টাকা দাবি করার অভিযোগ করা হয়েছে ওই ডেথ-নোটে। প্রিসারভেশন অফ করাপশন অ্যাক্ট ১৯৮৮ এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নির্দিষ্ট ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, জিভা পেশায় একজন আইনজীবী ছিলেন এবং বেঙ্গালুরুতে একটি কাঠের সামগ্রীর দোকানও চালাতেন তিনি। ২২ নভেম্বর তিনি আত্মহত্যা করার পর তাঁর বোন সঙ্গীতা পুলিশের কাছে অভিযুক্ত ওই ডিএসপি-র বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, কর্ণাটক ভোভি ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনে সামগ্রী সরবরাহ কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন জিভা। এই মামলায় কর্ণাটক হাইকোর্ট সিআইডিকে ১৪ থেকে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে জিভাকে অনলাইনে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছিল। তবে সিআইডি তাকে এরপরেও সশরীরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেয় বলে জানা গিয়েছে। সেই নির্দেশ মতো ১৪ নভেম্বর তিনি সিআইডির কাছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হলে সেখানে তাঁকে হেনস্তা করা হয় এবং তাঁর থেকে অভিযুক্ত ডিএসপি ২৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন বলে অভিযোগ। তাঁর থেকে সেই মামলা সংক্রান্ত কোনও নথি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন ওই ডিএসপি, এই কথারও উল্লেখ রয়েছে জিভার ডেথ-নোটে। অভিযুক্ত ডিএসপি জিভার দোকানে গিয়ে তাঁর কর্মচারীদের সামনে তাকে অপমান করেছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে এই মামলায় দায়ের করা এফআইআর-এ। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ।