রাজ্যব্যাপী অনুষ্ঠানের কার্যসূচি ঘোষণা শহিদ কনকলতা জন্ম শতবৰ্ষ উদযাপন কমিটির
বরাক তরঙ্গ, ১৭ ডিসেম্বর : শহিদ কনকলতার জন্ম শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে রাজ্যব্যাপী অনুষ্ঠানের কার্যসূচি ঘোষণা করল সারা অসম শহিদ কনকলতা জন্ম শতবৰ্ষ উদযাপন কমিটি। মঙ্গলবার গুয়াহাটির প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যব্যাপী অনুষ্ঠানের কার্যসূচি ঘোষণা করেন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জিতেন্দ্ৰ চলিহা, সহ-সভাপতি ডাঃ চিত্ৰলেখা দাস ও সুভাষ গোস্বামী।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনে জিতেন্দ্ৰ চালিয়া বলেন কনকলতা বরুয়ার জন্ম শতবার্ষিকীতে সমাজ জীবনে এক নতুন বাৰ্তা এবং নব প্ৰজন্মের সামনে কনকলতার দেশপ্ৰেম, আত্মত্যাগ, দেশের জন্য সব কিছু বিলিয়ে দেওয়ার মানসিকতা, দেশ ও সমাজের প্ৰতি দ্বায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ ও তাঁর জীবন সংগ্রাম থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্পবদ্ধ হতে প্ৰখ্যাত সাহিত্যিক নিরুপমা বড়গোঁহাইকে সভাপতি মনোনীত করে সারা অসম শহিদ কনকলতা জন্ম শতবৰ্ষ উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটির পক্ষ থেকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অমর শহিদ বীরাঙ্গনা কনকলতার জন্ম শতবার্ষিকীতে তাঁর জীবন সংগ্ৰাম ছাত্ৰ যুব সমাজের মধ্যে তুলে ধরতে ২০২৩ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে বর্ষব্যাপী বিভিন্ন কাৰ্যসূচী উদযাপনের পর আগামী ২২ ডিসেম্বর জন্ম শতবাৰ্ষিকী পূর্তি উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের কাৰ্যসূচী পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কমিটির আহ্বানে সাড়া দিয়ে কনকলতা জন্ম শতবর্ষ উদযাপন সমিতি, কাছাড় শিলচর থেকে গহপুর পর্যন্ত সাড়ে চারশত কিলোমিটার দূরেস্থিত তাঁর শহীদস্থল পর্যন্ত বাইক রেলীর আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গুয়াহাটিতে ভরলুমুখ প্ৰাথমিক বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক প্ৰতিযোগিতা ও জালুকবাড়ি থেকে দীঘলী পুখুরী পর্যন্ত বাইক র্যালি এবং লক্ষ্মীরাম বরুয়া সদনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও নগাঁও, তেজপুর, লখিমপুর, গোয়ালপাড়া ইত্যাদি স্থানেও অনুষ্ঠিত হবে নানা ধরনের অনুষ্ঠান। কমিটির পক্ষ থেকে শহিদ কনকলতার জীবন সংগ্ৰামের স্মৃতি জনমানসে ছড়িয়ে দিতে স্মারক ডাক টিকিট প্ৰকাশ, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শহিদ কনকলতা বরুয়ার প্ৰামাণ্য জীবনী গ্ৰন্থ প্ৰকাশ, গুয়াহাটি শহরে শহীদ কনকলতার পূৰ্ণাবয়ৱ ব্ৰঞ্জের মূৰ্ত্তি স্থাপন, স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তকে শহিদ কনকলতার জীবনী ও ঐতিহাসিক ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অসমের শহিদদের নাম ইতিহাসে সন্নিবিষ্ট করা, শহিদ কনকলতার নামে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা, যাত্ৰীবাহী রেল শহিদ কনকলতার নামে নামাঙ্কিত করা ও শহিদ কনকলতার ফটো বিকৃতি ঘটানোর প্ৰক্ৰিয়া বন্ধ ইত্যাদি গুরুত্বপূৰ্ণ দাবি সরকারের কাছে উত্থাপন করা হয়।