দিল্লিতে চন্দ্রনাথপুর-লঙ্কা রেলপথ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটির
৬ মার্চ : দিল্লির যন্তর মন্তরে ভৈরবী-গুয়াহাটি যাত্রীরেল অবিলম্বে চালু করা এবং চন্দ্রনাথপুর-লঙ্কা প্রস্তাবিত দ্বিতীয় রেলপথের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল শিলচর-লামডিং ব্রডগেজ রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটি। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের পর রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে রেলমন্ত্রকের মাধ্যমে স্মারকপত্র প্রদান করেন কমিটির কর্মকর্তারা। শিলচর-লামডিং ব্রডগেজ রূপায়ন সংগ্রাম কমিটি আয়োজিত আজকের এই কার্যসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বরাক উপত্যকার কাছাড় শ্রীভূমি এবং হাইলাকান্দি জেলা সহ ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতিনিধিরা।প্রতিবাদী এই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগ্রাম কমিটির অন্যতম আহ্বায়ক সুশীল পাল, ত্রিপুরা রাজ্যের রেল আন্দোলনের অন্যতম মুখ সঞ্জয় চৌধুরী, শ্রীভূমির সমাজকর্মী গোপাল পাল, কাছাড় জেলার মোহন মালা, রামকুমার বাকতি প্রমুখ। চন্দ্রনাথপুর-লঙ্কা দ্বিতীয় রেলপথের কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শেষ করতে হবে, মিজোরামের ভৈরবী থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত অবিলম্বে চালু করতে হবে প্রতিবাদীদের এই স্লোগানে যন্তর মন্তর এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।
সুশীল পাল ব্রডগেজ রূপায়ণে সংগ্রাম কমিটির দীর্ঘ পাঁচ বছরের লাগাতার ও ধারাবাহিক আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে বলেন, চন্দ্রনাথপুর-লঙ্কা দ্বিতীয় রেলপথ সময়ের দাবি। এই দাবি ব্রডগেজ রূপায়ন সংগ্রাম কমিটি ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হাইলাকান্দির চতুর্থ গণ সমাবেশে পাহাড়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া বর্তমান রেল রুট তার প্রারম্ভিক পর্যায়ে নানা ত্রুটি বিচ্যুতি নিয়েই শুরু হয়। নিম্নমানের কাজ, মাটির গঠন সম্বন্ধে সম্যক ধারণা করতে না পারা এবং পাহাড়ি জলের গতির নিয়ন্ত্রনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি গ্রহণ করতে না পারায় নানা বিপর্যয় ঘটেছে আবার ভবিষ্যতেও ঘটতে পারে। এ বিষয়ে ব্রডগেজ রুপায়ন সংগ্রাম কমিটি বারবার স্মারকপত্র পাঠিয়ে রেলমন্ত্রককে অবহিত করে। রেল বিভাগের চূড়ান্ত গাফিলতির এবং অদূরদর্শিতায় আজ এই অঞ্চলের জনগণকে ভুগতে হচ্ছে। প্রস্তাবিত রেলপথ গুয়াহাটির সঙ্গে দূরত্ব কমাবে প্রায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার। প্রায় সমতলের উপর দিয়ে বেশিরভাগ এই রেল রুট।টানেলের সংখ্যা অনেক কমে যাবে। বর্তমান সিঙ্গুল ট্র্যাকের উপর চাপ কমবে।প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

অতি দ্রুত মিজোরামের ভৈরবী থেকে গুয়াহাটি যাত্রীরেল চালু করার গণ দাবি অতি জোরালোভাবে উত্থাপিত করে বলেন, হাইলাকান্দি বাসি জনগণ রাজ্যের রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি রেলযোগাযোগ না থাকায় নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। জেলা জনগণ, বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে। বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও দাবি বাস্তবায়নের কোন কার্যকরী ভূমিকা পালন করছেন না। সংগ্রাম কমিটি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে এবং তার তীব্রতা বাড়াবে। জেলাবাসী এবং পার্শ্ববর্তী মিজোরাম রাজ্যের জনগণকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।
