কাজিরবাজারে ভস্মীভূত ছয়টি দোকানঘর, ব্যাপক ক্ষতি
মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ৮ নভেম্বর : ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড রাতাবাড়ির কাজিরবাজারে। ভস্মীভূত হল ছয়টি দোকানঘর। শুক্রবার সাতসকালে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডটি ঘটেছে। সকালে কয়েকজন লোক প্রথমে আগুন লাগার বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেন।দেখতে দেখতে আগুনের লেলিহান মূহুর্তে গ্রাস করে ফেলে কপিল আহমদ, ময়নুল হক, জয়নুল হক, খালেক আহমদ, সামসুল হকের দোকান। তাদের কাচা দোকানের পেছনে ছিল সামসুল হকের কাপড় ও তুলার গোডাউন। এতে মূহুর্তে আগুন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে। খবর পেয়ে বাজারের আশপাশের শতাধিক জনগণ জড়ো হয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। জনগণের প্রচেষ্টা আগুন বাজারের অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি যদিও ততক্ষণে ছয়টি দোকান পুড়ে ছাই।
খবর দেওয়া হয় অগ্নিনির্বাপক বাহিনীকে। দুল্লভছড়া ও পাথারকান্দি থেকে দু’টি দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বাহিনী। পৌঁছে রাতাবাড়ি পুলিশও। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই ছুটে আসেন রামকৃষ্ণনগর সার্কল অফিসার। তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পর্যাপ্ত সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এদিকে, আনিপুর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য তথা কাজিরবাজার উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান হেলাল আহমদ খান ক্ষোভ প্রকাশ বলেন, বিগত দিনের রাতাবাড়ি থানায় অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছিল। তৎকালীন মন্ত্রী সিদ্দেক আহমদ ও বিভাগীয় সঞ্চালকের হাত ধরে ওই কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়েছিল। দু’টি দমকলের ইঞ্জিন দীর্ঘ কয়েক বছর রাতাবাড়ি থানায় ছিল। কিন্ত পরবর্তীতে হঠাৎ করে জায়গার অভাব দেখিয়ে দমকলের ইঞ্জিন দুইটি দুল্লভছড়ায় সরিয়ে নেওয়া হয়।হেলাল বলেন, রামকৃষ্ণনগর ও দুল্লাভছড়ায় দমকলের ইঞ্জিন থাকতে আমাদের আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্ত জেলার অন্যতম গ্রামীন বাজার কাজিরবাজারে প্রতিবছর অগ্নিসংযোগের ফলে কোটি টাকার লোকসান হয়। তাই রাতাবাড়ির কাজিরবাজারের পাশে একটি অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর একটি ইঞ্জিন থাকা বাঞ্ছনীয়। রামকৃষ্ণনগর সার্কল অফিসারের কাছে এলাকার জনগণের তরফে এ দাবি রাখেন তিনি।