নারী দিবসে দুই বিশিষ্ট মহিলাকে  সম্মাননা প্রদান শিলচর শঙ্করমঠ ও মিশনের

বিশ্বজিৎ আচার্য ও দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৮ মার্চ : শিলচর শঙ্করমঠ ও মিশনে শনিবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সমাজ, সাহিত্য এবং প্রকাশনা ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য দুই জন বিশিষ্ট নারীকে সম্মানিত করেছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি সোনাই রোডের আশ্রম প্রাঙ্গণে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়। সম্মানপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন সমাজকর্মী স্বর্ণালী চৌধুরী এবং কবি-লেখিকা ও প্রকাশক মিতা দাস পুরকায়স্থ। অনুষ্ঠানে তাদের নিষ্ঠা ও অবদানের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। উনাদের হাতে শিলচর শঙ্করমঠ ও মিশনের কর্মাধ্যক্ষ বিজ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ ও আত্মানন্দ মহারাজেরা গলায় উত্তরীয় পরিয়ে ও স্মারকলিপি তুলে দেন।

শিলচর শঙ্করমঠ মঠ ও মিশনের কর্মাধ্যক্ষ বিজ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ বলেন, এটি এমন একটি দিন যখন জাতীয়, জাতিগত, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক সীমানা পেরিয়ে নারীদের তাদের সাফল্যের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কিন্তু এদেশে নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে যে সকল সমস্যা বা সীমাবদ্ধতা বা প্রতিবন্ধকতা লক্ষ্য করা যায় সেগুলো হচ্ছে , সামাজিক প্রেক্ষাপট, দারিদ্রতা, শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীদের অনগ্রসরতা, নারীদের যথেষ্ট সচেতনতার অভাব, ধর্মীয় গোঁড়ামি, সুযোগ ও সুশিক্ষার অভাব ইত্যাদি। এসব সমস্যা বা সীমাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব না হলে এ দেশের সহজে নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভবপর নয়। তিনি আরও বলেন, শঙ্কর মঠ ও মিশন কেবল সনাতন ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সামাজিক কর্মকান্ডেও জড়িত, তাই আন্তজার্তিক নারী দিবসে এই অঞ্চলের বিশিষ্ট্য দুই লেখিকা সহ একজন সমাজসেবী মহিলাদেরকে আন্তর্জাতিক দিবসে সম্মান জানাতে পেরে খুবই আনন্দিত তিনি।

নারী দিবসে দুই বিশিষ্ট মহিলাকে  সম্মাননা প্রদান শিলচর শঙ্করমঠ ও মিশনের

সমাজসেবী স্বর্ণালী চৌধুরী বলেন, নারী শুধু পুরুষের নম্র সহচরী নয়। বর্তমানে নারী পুরুষের সঙ্গে বুদ্ধির খেলায় মেতেছে। বীরাঙ্গনা বেশে যুদ্ধ করছে শত্রু সঙ্গে। সাহসিক অভিযানে পাল্লা দিয়েছে পুরুষের সঙ্গে। রাজনীতিতে পুরুষের সহযাত্রিনী। দেশের কাজে আত্মদানের গৌরবে গরবিনী। ধর্মে-সমাজ সংস্কারে নারীর ভূমিকা অনন্য। সাহিত্যে বিজ্ঞানে বিশ্বজয়ের  স্বীকৃতি। নারী এখন সংগ্রামী জীবনের অংশীদার। জীবন যুদ্ধে অন্যতম শরিক হলো নারী।

কবি-সাহিত্যিক-প্রকাশক মিতা দাশ পুরকায়স্থ বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস সারা বিশ্বে নারীত্বের একটি মহান উদযাপন। এই দিনটি বিশেষ করে মহিলাদের কৃতিত্বকে সম্মান করে এবং লিঙ্গ বৈষম্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায়। এই দিনে আমাদের সমাজে মহিলাদের কৃতিত্ব উদযাপন করার উপায়গুলি নিয়ে আমাদের সকলের চিন্তা করা উচিত। মেয়েদের শিক্ষার প্রসার ঘটানো এবং সমাজের সকল অংশ থেকে লিঙ্গ পক্ষপাত দূর করা গুরুত্বপূর্ণ। এদিন অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তিদের স্বীকৃতি ও উৎসাহ প্রদানের প্রতি প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয় উপস্থিত সবাই।

Author

Spread the News