রাজ্যসভাও পাস ওয়াকফ সংশোধনী বিল, সমর্থন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর
৪ এপ্রিল : ম্যারাথন বিতর্ক শেষে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ১২৮টি ভোটে রাজ্যসভায় পাস হল ‘ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫’। বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৯৫টি। এখন শুধুই রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের অপেক্ষা, তারপরেই কার্যকর হবে নতুন এই আইন।
থাইল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা সফরকালীন প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছেন, পুরনো আইনটিতে বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন ধরে প্রান্তিকে রয়ে গিয়েছেন, তাঁদের মতামত এবং সুযোগ উভয়ই বঞ্চিত করা হচ্ছে। সংশোধিত বিলে আর সেইরকম হবে না।

১৯৫৪ সালের ওয়াকফ আইন সংশোধন করে ১৯৯৫ সালে বোর্ডের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছিল। তবে এবারের পরিবর্তন আরও সুদূরপ্রসারী। নতুন সংশোধনে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা কার্যত খর্ব করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ১২ ঘণ্টারও বেশি আলোচনার পর বিতর্ক এবং সংশোধনী নিয়ে ভোটাভুটি শেষে বৃহস্পতিবার রাত ২.১৯ মিনিটে ‘ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫’ পাশ করানোর প্রস্তাব পেশ করেন সংসদীয় বিষয়ক এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। ধ্বনিভোটের ফলাফলে বিরোধী শিবির সন্তুষ্ট হয়নি। তাঁরা বিভাজন (ডিভিশন) চান। ভোটাভুটি শেষে রাত ২.৩৪ মিনিটে ফল ঘোষিত হয়। তাতে দেখা যায় বিলের পক্ষে পড়েছে ১২৮টি ভোট। আর বিপক্ষে পড়েছে ৯৫টি ভোট। ৩৩ ভোটের ব্যবধানে ওয়াকফ বিল রাজ্যসভায় পাশ হয়ে যায়।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় বিতর্কে অংশ নিয়ে ওয়াকফ বিলকে সমর্থন জানিয়েছেন। বলেছেন, “এই বিল গরিব মুসলিমদের রক্ষা করবে। ন্যায়ের স্বার্থে এই নতুন বিল আমাদের সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।”

ভাষণের কেন্দগ্রীয় সংখ্য়ালঘুমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “কেউ কেউ বলছেন, আমরা এই বিলের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের ভয় দেখাচ্ছি। কিন্তু ভয় আমরা দেখাচ্ছি না। ভয় আপনারা দেখাচ্ছেন। সিএএর সময়েও অনেকে ভয় দেখিয়েছিলেন। বলেছিলেন, সিএএ পাশ হলেই অনেকের নাগরিকত্ব চলে যাবে। কিন্তু সিএএ পাশ হওয়ার পরে তেমন কিছু হয়নি। ওয়াকফ বিলের ক্ষেত্রেও আগে থেকে অনেকে ভয় দেখানোর কাজ করছেন। কিন্তু বিল পাশ হওয়ার পর দেখবেন, আগামী কাল থেকেই একে কী ভাবে স্বাগত জানানো হয়।”
খবর : আজকাল ডট ইন।