সবজির অগ্নিমূল্যের অন্যতম কারণ বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থা
বরাক তরঙ্গ, ২৪ জুন, সোমবার,
উত্তরপূর্বে মৌসুমি বায়ু ঢুকতে বহির্রাজ্য ও জেলার সঙ্গে বারবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বরাক উপত্যকার তিনজেলা। এতে বাজারে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম হাতের নাগালে বাইরে চলে যায়। অতিবৃষ্টির জেরে শিলচর-শিলং ও শিলচর-হাফলং রোড যেকোন সময় বন্ধ হয়ে পড়ে। এক অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকে সড়কপথ দু’টি। এমনকি শিলচর-লামডিঙ রুটও প্রকৃতির রোষে পড়ে।
রেল ও সড়কপথ বন্ধ হয়ে গেলে শিলচরে সবজি বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অগ্নিমূল্যে বিক্রি হয়। এর একমাত্রই কারণ বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থা। শিলচরে সবজি আসে বড়পেটা, লঙ্কা, খেরুপেটিয়া, শিলং এবং ত্রিপুরা থেকে। যখন বরাকের এই দু’টি সড়কপথ বন্ধ হয়ে গেলে সুযোগটা হাতছাড়া করে না ত্রিপুরা। ত্রিপুরার তেলিয়ামুড়া বাজার বরাকের বাজারটি নিয়ন্ত্রণ করে। স্থানীয় চাহিদার সঙ্গে বরাকের চাহিদা বেড়ে যায় তখনই সবজির দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে ঝিঙে, পটল, কাঁকরোল, কচুমুখি, রামাইস, লতা এই সবজি গুলো বেশী সংখ্যক বরাকে আসে।
শিলং থেকে বাধা ও ফুলকপি, টমেটো, কোয়াস নিয়ে আসা হয়। শিলং থেকে শিলচর নিয়ে আসতে মাঝারি বাহনের ভাড়া ১২ হাজার টাকা। শিলচর-শিলং সড়কটি ধস প্রবণ হওয়ায় হাফলং হয়ে শিলচরে নিয়ে আসা হয়। এতে ভাড়া বাবৎ খরচ হয় প্রায় ২৫ হাজার টাকা। একই ভাবে বড়পেটা, খেরুপেটিয়া থেকে আনা সবজিগুলো এই পথে আসে। কাঁচা মাল অর্থাৎ সবজির বাজারের অগ্নিমূল্যের অন্যতম কারণ বরাকের বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থা।
আর বরাকের মাটিতে যেসব সবজি ফলন করা হত তা পরপর বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে পঁচে গাছগুলো মরে গেছে। ফলে সবজির অভাবটা আরও বেশী দেখা দিয়েছে। এতে চড়াদরে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা। পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে সিন্ডিকেট।