কবি-সাংবাদিক বিজয়কুমার ভট্টাচার্য প্রয়াত, শোক
বরাক তরঙ্গ, ২৭ সেপ্টেম্বর : কবি-সাংবাদিক বিজয়কুমার ভট্টাচার্য আর নেই। শুক্রবার সকালেই তিনি পরপারে পাড়ি দিলেন। ৬৫ বছর বয়সে তাঁর এই মৃত্যুতে কবি এবং সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। অল্প রোগভোগের পর শুক্রবার সকাল ৫ টায় শিলচর হাসপাতাল রোডের (অরবিন্দ রোড) নিজ বাসভবনে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এ দিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ কবি-সাংবাদিক বিজয়কুমার ভট্টাচার্যের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
শ্মশান যাত্রার আগে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় শিলচর প্রেস ক্লাবে। সেখানে কবি, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা শেষ শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদন করে কাছাড় জেলা ই-মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন, বার্তাজীবী সংঘ, আকসা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চ সহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তারা। প্রেসক্লাবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শংকর দে, রত্নদীপ দেব, অভিজিৎ ভট্টাচার্য, গৌতম তালুকদার, মকসুদুল আলম চৌধুরী, মৃদুলা ভট্টাচার্য, অনিরুদ্ধ লস্কর, অজিত দাস, আকসার রূপম নন্দী পুরকায়স্থ প্রমুখ।
প্রয়াত কবি-সাংবাদিক ভট্টাচার্য সাংবাদিকতা জীবনে দৈনিক সোনার কাছাড়, দৈনিক প্রান্তজ্যোতি, দৈনিক যুগশঙ্খ সহ বিভিন্ন হাউসে কাজ করে শেষের দিকে দৈনিক গতিতে সাংবাদিকতা করেন। তিনি বরাক উপত্যকার একজন প্রথম সারির কবিও ছিলেন। অধ্যাপকও ছিলেন ভট্টচার্য। তিনি মৃত্যুকালে রেখে গেছেন স্ত্রী, একমাত্র কন্যা, নাতি নাতনি সহ আত্মীয়-স্বজন ও পরীজনদের। কিছুদিন আগে ভট্টাচার্যের একমাত্র পুত্রের মৃত্যু ঘটে।
কবি-সাংবাদিক বিজয় কুমার ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান সাংবাদিক বিকাশ চক্রবর্তী, তিলক ভট্টাচার্য, মনজুর আহমেদ বড়ভূইয়া, অমল লস্কর, চয়ন ভট্টাচার্য, বিশ্বজিৎ আচার্য, মিলন উদ্দিন লস্কর, উত্তমকুমার সী, সমীরণ চৌধুরী, মৃত্যুঞ্জয় দাস, আশু চৌধুরী সহ অনেকেই।