ত্রিপুরায় নাট্যোৎসবে ‘নূপুর মাঝির বৈঠা’ নাটক মঞ্চস্থ করবে পাথারকান্দি নাট্যজন
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২৫ ফেব্রুয়ারি : আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ত্রিপুরার উদয়পুরের ঐতিহ্যবাহী ভুবনেশ্বরী মন্দির (রাজবাড়ি) প্রাঙ্গণে মঞ্চস্থ হতে চলেছে বহুল প্রশংসিত নাটক ‘নূপুর মাঝির বৈঠা’।পাথারকান্দি নাট্যজন-এর প্রযোজনায় এই নাটকটি নিবেদিত হচ্ছে প্রয়াত নাট্যকর্মী দেবানু ভট্টাচার্যের স্মৃতিতে অভিমুখ আয়োজিত’ নাট্যসৃজন-২০২৫’ নাট্যোৎসবে।
এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল শনবিলের মানুষের জীবনসংগ্রামের কাহিনি অবলম্বনে রচিত ‘নূপুর মাঝির বৈঠা’ ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও বরাক উপত্যকার বিভিন্ন মঞ্চে প্রশংসিত হয়েছে। এবার ত্রিপুরার দর্শকদের সামনে নতুন মাত্রায় পরিবেশিত হতে চলেছে এই নাটক।নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন অভিজিৎ দাস, কার্যকরী পরিচালনায় রাজেশ দে, এবং সংগীত পরিচালনায় সংকর্ষণ ঘোষ। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন তপন দাস, আয়ুশ দাস, বিপ্রজীৎ দাস, নবজিৎ রায়, মৃন্ময় দেব, অরিহা দাস, স্মিতা দাস, পূর্ণিমা সেন, দেবস্মিতা দেবরায়, রীমা দেব, শুভ্রজিৎ রায় এবং রাজেশ দে। আবহ প্রক্ষেপণে থাকছেন অমিত পাল। একদল উদ্যমী তরুণ নাট্যশিল্পীর সংযোগে গঠিত পাথারকান্দি নাট্যজন শুরু থেকেই সমাজ সচেতনতা মূলক নাটক মঞ্চস্থ করে নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচিতি গড়ে তুলেছে। তাদের নাট্যচর্চার মূল লক্ষ্য সমাজের বিভিন্ন বাস্তব সমস্যা ও ঐতিহ্যের সঙ্গে নাট্যরসের মেলবন্ধন ঘটানো।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘রাজর্ষি’ উপন্যাসে ত্রিপুরার রাজবংশ ও ভুবনেশ্বরী মন্দিরের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছিলেন, যা পরবর্তীতে ‘বিসর্জন’ নাটকের মাধ্যমে নাট্যরূপ পায়। এই ঐতিহ্যবাহী স্থানে ‘নূপুর মাঝির বৈঠা’ মঞ্চস্থ হওয়া নিঃসন্দেহে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সংস্থার সম্পাদক রাজেশ দে জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় নাটক মঞ্চস্থ করার পর, ২৮ ফেব্রুয়ারি তারা ‘দ্য থার্ড জেন্ডার’ নাটক নিয়ে শ্রীভূমি শহরে বহুরূপী নাট্যসংস্থা আয়োজিত নাট্যোৎসবে অংশ নেবেন।