পাক ‘বন্ধু’রা আইএসআই এজেন্ট, জানতেন জ্যোতি! মিলল বিস্ফোরক তথ্য

২৮ মে : ধৃত ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা জানতেন যে তাঁর পরিচিত পাক আধিকারিকরা সে দেশের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট (ISI agent)। কিন্তু তা নিয়ে জ্যোতির মনে কোনও ভয় ছিল না। এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনার তদন্তে নেমে এভাবেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে।

সূত্রের খবর, দানিশ সহ মোট চারজন আইএসআই এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জ্যোতির। তাঁদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথাও বলেছিলেন তিনি। এদের মধ্যে দানিশ ছাড়াও রয়েছেন আহসান এবং শাহিদ নামে দুই আইএসআই এজেন্ট। তদন্তকারীরা বর্তমানে এই এজেন্টরা আইএসআই-এর কোন পদে ছিলেন, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। এছাড়াও পুলিশ আগেই জ্যোতির ফোন, ল্যাপটপ সহ ডিজিটাল ডিভাইসগুলি বাজেয়াপ্ত করেছিল। কিন্তু তাতে থাকা অনেক তথ্য আগে থেকে মুছে ফেলা হলেও, ১২ টেরাবাইট তথ্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। সেগুলি স্ক্যান করেই একের পর এক তথ্য জানতে পারছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, এইসব তথ্যের মাধ্যমেই প্রমাণ হয়েছে যে, জ্যোতি ভালোভাবেই জানতেন যে আইএসআই এজেন্টদের সঙ্গে কাজ করছেন। তবে তিনি এসব নিয়ে ভীত ছিলেন না এবং যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছিলেন।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে চলতি মাসের শুরুতে গ্রেপ্তার হয়েছেন হরিয়ানার বাসিন্দা ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা। সোমবার তাঁকে হরিয়ানার হিসারের একটি আদালত ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠিয়েছে। ২০২৩ সালে নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের একজন কর্মী এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। গত ১৩ মে এই দানিশকেই ‘অবাঞ্ছিত’ বলে ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। আর এই দানিশের আমন্ত্রণেই গত বছর পাক হাই কমিশনের ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর দানিশ সম্পর্কে তদন্ত করতে গিয়েই প্রথমে জ্যোতির নাম পান তদন্তকারীরা।

পাক ‘বন্ধু’রা আইএসআই এজেন্ট, জানতেন জ্যোতি! মিলল বিস্ফোরক তথ্য

Author

Spread the News