বন্যাদুর্গত সবাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে : মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু
জনসংযোগ, হাইলাকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২ জুন : হাইলাকান্দি জেলার অভিভাবক মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল সোমবার হাইলাকান্দি জেলার বন্যা কবলিত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করে প্রশাসনের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। জেলা কমিশনারের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি জানান মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে বন্যাক্রান্ত সবাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণের জন্য দুর্গত মানুষের ব্যাংক একাউন্ট, আধার কার্ড, এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বন্যাক্রান্ত সময়ের জিওটেক ফটো সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে জমা দিতে তিনি দুর্গত জনসাধারণের প্রতি আবেদন জানান।
বৈঠকে প্রশাসন থেকে জানানো হয় যে এ পর্যন্ত জেলায় ১৬টি ত্রান কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং এতে দুর্যোগ মোকাবিলার নিয়ম অনুযায়ী রেশন সামগ্রী এমনকি রন্ধন করা চাল-ডালের মিশ্রণ খাবারও পরিবেশন করা হচ্ছে।

পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগ, পিএইচই, সমাজ কল্যাণ, ভেটেনারি ইত্যাদি বিভাগ থেকে পরিষেবাও দিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অভিভাবক মন্ত্রী দুর্গত যারা ত্রান কেন্দ্রে আসেননি, তাদেরকেও ত্রাণ-বিতরনের আওতায় আনতে প্রশাসনকে বলেন। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেওয়া আচ্ছাদনহীন দুর্গতদেরকে ত্রিপল দেওয়ার নির্দেশ দেন। সব বিভাগকে মন্ত্রী তাদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে অবিলম্বে তা প্রশাসনের কাছে জমা দিতে বলেন।

এছাড়া ভেটেনারি বিভাগকে তাদের মোবাইল মেডিকেল ভেন দিয়ে বন্যা আক্রান্ত এলাকার গবাদি পশুর চিকিৎসা করতে নির্দেশ দেন। সভায় দুই বিধায়ক জাকির হোসেন লস্কর, নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সহ জেলা কমিশনার নিসর্গ হিভারে, বিজেপি নেতা স্বপন ভট্টাচার্য, কল্যাণ গোস্বামী, পুরপতি মানব চক্রবর্তী, মুণ স্বর্ণকার ও কয়েকজন জেলা পরিষদ সদস্য অংশ নেন।এর আগে অভিভাবক মন্ত্রী পাল জেলা কমিশনার নিসর্গ হিভারে-কে সঙ্গে নিয়ে জেলার বন্যাকবলিত মাটিজুরি, নিমাইচাঁন্দপুর তসলা, গাগলাছড়া,কালাছড়া, পাইকান ইত্যাদি এলাকার পরিদর্শন করেন এবং বন্যাক্রান্তদের খোঁজখবর নেন।। এদিকে সোমবার জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রশাসনের প্রচেষ্টায় জলবন্দি ২৭৭ জন লোক এবং ৫০ টি গবাদি পশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার লালা রাজস্ব সার্কেলের নিজ বার্নারপুরের ৩৭ বছর বয়সের এক ব্যক্তি জলে ডুবে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জেলায় এ পর্যন্ত ১০৮ টি রাজস্ব গ্রামের ৩ লক্ষ২৩৪ জন লোক বন্যার কবলে পড়েছেন।। এর মধ্যে কাটলিছড়া সার্কেলে ৩৭টি গ্রাম, লালা সার্কেলে ৩৪টি, হাইলাকান্দি সার্কেলে ৩২টি এবং আলগাপুর সার্কেলে ৫টি গ্রাম রয়েছে। এপর্যন্ত ১ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমির ফসল বন্যার কবলে পড়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে এ পর্যন্ত ১৬টি রিলিফ ক্যাম্প খোলা হয়েছে এবং এতে ২৮৫৬ জন আশ্রয় নিয়েছেন। প্রশাসন থেকে পর্যন্ত ৪৫ কুইন্টাল চাল সাড়ে ৯ কুইন্টাল ডাল ২ কুইন্টাল ৬১ কেজি লবণ, ২৬০ লিটার ভোজ্য তেল,১৩০ প্যাকেট বেবি ফুড বন্টন করা হয়েছে।
