ধর্মনগরে প্রয়াত সাংবাদিকদ্বয়ের স্মরণ সভা
বরাক তরঙ্গ, ২৯ জানুয়ারি : উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর পুর পরিষদের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয় ধর্মনগরে প্রয়াত সাংবাদিক জ্যোতির্ময় রায় ও পলাশ সেনের স্মরণ সভা। বুধবার ধর্মনগর প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে প্রয়াত সাংবাদিকদ্বয়ের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে স্মরন সভার শুরু হয় সভা। এতে উপস্থিত ছিলেন ধর্মনগরের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন সহ ধর্মনগর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন মিতালিরানি দাসসেন, ত্রিপুরা জার্নালিস্ট ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক তথা হেডলাইন্স ত্রিপুরা ন্যাশনালের এডিটর প্রণব সরকার, প্রয়াত সাংবাদিক পলাশ সেনের স্ত্রী কাকলি সেন, প্রয়াত সাংবাদিক জ্যোতির্ময় রায়ের ছেলে অনিক প্রতি রায়, ধর্মনগর প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি আব্দুল হান্নান প্রমুখ।তারপর প্রয়াত সাংবাদিকদ্বয়ের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এদিনের স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন বলেন, যাঁরা চলে গেছেন তাঁদের তো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না, তবে তাঁদের পরিবারের পাশে তিনি থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, প্রয়াত সাংবাদিক জ্যোতির্ময় রায়ের পরিবার আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল থাকলেও প্রয়াত সাংবাদিক পলাশ সেনের পরিবার তেমন স্বচ্ছল নয়।সেব্যাপারে তাঁর সর্বোপরি সহযোগিতা করবেন বলেও জানান। প্রণব সরকার বলেন, সাংবাদিকদের মৃত্যু হয় না। লেখনির মাধ্যমে সাংবাদিকরা আজীবন বেঁচে থাকেন। তবে প্রতিভাবান দুই সাংবাদিকের প্রয়াণে ধর্মনগর সহ গোটা রাজ্যের সংবাদ মহলের অপরিসীম ক্ষতি হয়েছে।

উল্লেখ্য,গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর কিডনি জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হরিদ্বারের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাংবাদিক পলাশ সেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। তিনি স্যন্দন পত্রিকার সাংবাদিক ও ধর্মনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতিও ছিলেন। এদিকে, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ব্রন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাংবাদিক জ্যোতির্ময় রায়।তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ব্রন ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। তিনি দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছর যাবৎ সিপিআই (এম) দলের মুখপত্র ডেইলি দেশের কথার সাংবাদিক ছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি কবিতা, উপন্যাস, নিবন্ধ লেখনীতে ছিলেন রাজ্যের অন্যতম বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।