“ল ভল্টেজ’ : চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশনের
বরাক তরঙ্গ, ১ আগস্ট : এপিডিসিএলের মেহেরপুরস্থিত কার্যালয়ে অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশনের কাছাড় জেলা কো-অর্ডিনেশন কমিটির এক প্রতিনিধি দল চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে “ল ভল্টেজ’ সমস্যার স্থায়ী সমাধান, লোডশেডিং বন্ধ করা এবং পুরোনো অকেজো বৈদ্যুতিক তার, ট্রান্সফরমার ইত্যাদি পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে স্মারকপত্র প্রদান করে। সংগঠনের আসাম রাজ্য কমিটির অন্যতম আহ্বায়ক হিল্লোল ভট্টাচার্য জানান গত মঙ্গলবার এপিডিসিএল এর শিলচর ডিভিশন-১ এর এজিএম এর অনুপস্থিতিতে একটি স্মারকপত্র সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মচারীর নিকট প্রদান করা হয়। তিনি পরবর্তীতে ফোন করে উক্ত বিষয়গুলো এপিডিসিএল এর সিইও এর সাথে আলোচনা করার জন্য জানান। তাই আজ সিইও এর সঙ্গে সংগঠনের প্রতিনিধিরা আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার এই আলোচনায় সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সাধন পুরকায়স্থ, অধ্যাপক অজয় রায়, মানস দাস, ফারুক লস্কর, রঞ্জিত চৌধুরী, চাম্পালাল দাস, অঞ্জন কুমার চন্দ এবং আমজল হুসেইন চৌধুরী। সিইও প্রতিনিধিদের বলেন যে পঁচিশটি নতুন ট্রান্সফরমার এসেছে। ‘ল ভল্টেজ” সমস্যা যে সব জায়গায় রয়েছে সেখানে তা সমাধানের জন্য তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে সাধন পুরকায়স্থ বলেন এসব কথা যদিও বলা হচ্ছে কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন ঘটছে না। পাঁচদিন আগেও ন্যাশনাল হাইওয়ের মানুষ ট্রান্সফরমারের যান্ত্রিক গলযোগের দরুন দু’দিন তীব্র গরমের মধ্যে প্রায় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিলেন। পরে ভুক্তভোগী জনগণ পথ অবরোধ করলে এপিডিসিএল এর পক্ষ থেকে কার্যকরী ভূমিকা পালন করা হয়। মানস দাস বলেন একই পরিস্থিতি পঞ্চায়েত রোড, দাস কলোনীতে ছিল। রঞ্জিত চৌধুরী ও অধ্যাপক অজয় রায় বলেন ‘ল ভল্টেজ’ সমস্যায় নাজেহাল হতে হচ্ছে মালুগ্রাম অঞ্চলের জনগণকে। চাম্পালাল দাস বলেন বিবেকানন্দ রোড এলাকায় বিভিন্ন স্থানে ‘ল ভল্টেজ’ সমস্য রয়েছে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে ফারুক লস্কর বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়মিত করার জন্য এখন কেন জনসাধারণকে সোচ্চার হতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে এপিডিসিএল এর ঢালাও প্রসংসা করছেন সেখানে এই অবস্থা কেন? সংগঠনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে উক্ত বিষয়গুলো সমাধানের জোরালো দাবি জানানো হয়।