টংলায় বাংলা সাহিত্য সভার উদ্যোগে ভাষা শহিদ দিবস পালন
বরাক তরঙ্গ, ১৯ মে : ওদালগুড়ি জেলার টংলায় ১৯ শে মে ভাষা শহিদ দিবস পালন করল উত্তর-পূর্ব ভারত বাংলা সাহিত্য সভার টংলা আঞ্চলিক কমিটি। রবিবার টংলা প্রগতি শিশু নিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয় প্ৰাঙ্গণে শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ দিন বিকেল ৪টায় একাদশ শহিদদের শ্ৰদ্ধাঞ্জলি অৰ্পণ করা হয়। শ্ৰদ্ধাঞ্জলি অৰ্পণ করেন টংলা কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. অভিজিত চক্রবর্তী, প্রদীপ প্ৰজ্বলন করেন বিজয়া দে (সহকারী শিক্ষয়িত্ৰী, টংলা মডেল হাইস্কুল), বাসন্তী ভট্টাচাৰ্য চক্রবর্তি (প্রধান শিক্ষিকা, টংলা প্রগতি শিশু নিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয়), জয়শ্রী দেবনাথ, প্রতিভা বোস, অনুরাধা পাল, পম্পী সাহা, লিপিকা পাল, পিংকি সাহা, রামকৃষ্ণ সাহা, সুস্মিতা পাল, ভাৰ্গব সাহা, অর্পিতা সাহা, প্রিয়াংকা দাস, সঞ্জয় সাহা (সাধারণ সম্পাদক উত্তর-পূর্ব ভারত বাংলা সাহিত্য সভা) আশিস দাস (সক্রিয় সদস্য উত্তর-পূর্ব ভারত বাংলা সাহিত্য সভা কেন্দ্ৰীয় কমিটি) প্ৰমুখ। দেশাত্ববোধক সঙ্গীত পরিবেশন করে রামকৃষ্ণ সাহা, সুস্মিতা পাল। কবিতা আবৃত্তি করে প্রতিভা বোস, জয়শ্রী দেবনাথ ও প্রিয়ঙ্ক দাস।

ভাষা শহিদ দিবসের উপর বক্তব্য রাখেন উত্তর-পূর্ব ভারত বাংলা সাহিত্য সভা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সাহা। তিনি বলেন, ১৯৬১ সালের ১৯ মে শহিদ হয়েছিলেন এগারো জন। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজও লড়াই করে যাচ্ছেন রাজীব কর, নীহাররঞ্জন পালদের মতো আরও কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন এই এগারো জন শহিদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা সহকারে শহিদ ঘোষণা করার জন্য। ১৯৬১ সালের ১৯শে মে শিলচর রেলওয়ে স্টেশনে যে রক্তাক্ত ইতিহাস সংঘটিত হয়েছিল সেই রেলস্টেশনকে ‘ভাষা শহিদ স্টেশন, শিলচর’ ঘোষণা করার জন্য লাগাতার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। কিন্তু সেই লড়াইয়ের আজও কোনও সংসুত্র পাচ্ছেন না সরকারের কাছ থেকে। উত্তর পূর্ব ভারত বাংলা সাহিত্যসভা সেই দাবি ও লড়াইয়ের প্রতি সম্পূর্ণ সহমর্মিতা জ্ঞাপন করে বলে অনুষ্ঠানে মত ব্যক্ত করা হয়।অনুষ্ঠানটি জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

