অরণোদয় প্রকল্পে প্রকৃত সুবিধাপ্রাপকরা বঞ্চিত : বিধায়ক খলিল
অনিতা পাল, কাটিগড়া।
বরাক তরঙ্গ, ২০ মে : রাজ্য সরকারের অরণোদয় প্রকল্পে প্রকৃত সুবিদাপ্রাপকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। সোমবার এমনই অভিযোগ উত্থাপন করলেন কাটিগড়ার বিধায়ক খলিল উদ্দিন মজুমদার। এদিন তাঁর টিকরপাড়া স্থিত বাসভবনে গতি দৈনিকের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বিধায়ক খলিল বলেন, কাটিগড়ায় পুরনো নতুন মিলিয়ে প্রায় ২৭ হাজারের অধিক হিতাধিকারী অরুণোদয় প্রকল্পে সংযুক্ত হবেন। এরমধ্যে বিধায়কের কৌটায় মাত্র পাঁচ হাজার তিনশ জন দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বিধায়ক সমগ্র কাটিগড়া থেকে মাত্র ৫,৩০০ জনকে এই অরুণোদয় প্রকল্পে মনোনীত করতে পারবেন। ২৪৯টি বুথের মধ্যে ৮০ থেকে ৮৫ বুথে সদস্য দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ স্থানে সদস্য না থাকায় সঠিক ভাবে সুবিধাপ্রাপকদের চয়ন করা যায়নি। তাই রাজ্য সরকারের অরণোদয় প্রকল্পে প্রকৃত সুবিধাপ্রাপক বঞ্চিত হচ্ছেন বলে দাবি করেন বিধায়ক খলিল।
তিনি জানান, অনেক বিকলাঙ্গ লোক বা বিধবা মহিলার নাম সিলেকশন কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাদের নাম মনোনীত হয়ে শিলচর পর্যন্ত পৌঁছয়নি, তাই প্রকৃত সুবিধাপ্রাপকরা বঞ্চিত হয়েছেন। এনিয়ে গত কয়েকমাসে বারবার অভিভাবক মন্ত্রী ও কাছাড়ের জেলা আয়ুক্তের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন তিনি। তারপরও গ্রাম সভার তালিকায় বিকলাঙ্গ, বিধবা মহিলা বা গাইড লাইন অনুযায়ী যারা অরুণোদয় পাওয়ার কথা তাদের নাম তালিকায় নেই। সেইসব বঞ্চিতরা বিধায়কের সাথে যোগাযোগ করেছেন বলে জানান তিনি।

ইদানিং কাটিগড়া ও কালাইন ব্লকে যে সব সুবিধাপ্রাপকের নাম চূড়ান্ত হয়ে এসেছে, সেই তালিকার কিছুটা বিধায়কের নেতৃত্বে সোমবার কাটিগড়া ও কালাইন ব্লকের মণ্ডল কমিটির কর্তাদের দ্বারা সঠিক স্থানে ফরম পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। যেহেতু তাঁর কৌটায় কম সংখ্যা দেওয়া হয়েছে তাই, এমন অনেক অসহায় বিকলাঙ্গ বা বিধবা মহিলা বা যারা গাইড লাইন অনুযায়ী প্রকৃত হিতাধিকারী হওয়ার যোগ্য, কিন্তু তিনি বার বার অনেক চেষ্টা করার পরও এঁদের নাম তালিকাভুক্ত করতে সফলতা পাননি, বলে এই কথা বার বার উল্লেখ করে বিধায়ক খলিল রাজ্য সরকার, বরাকের মন্ত্রী কৌশিক রায় ও কাছাড়ের জেলা আয়ুক্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রকৃত সুবিধাপ্রাপককে চয়ন করে অরণোদয় প্রকল্প প্রদানের দাবি জানান।
