পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ব্যবসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করিমগঞ্জে
মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ৮ আগস্ট : কোটা সংস্কার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন পরিস্থিতিতে অত্যন্ত অরাজকতা বিরাজমান। দেশে আইনের শাসনের সুদৃড়তার অভাব পরিলক্ষনীয়। বিভিন্ন থানা, প্রশাসনিক কার্যালয় ও সংখ্যালঘু জনগণের বাড়ি-ঘর ও ধর্মীয় উপাসনালয় সহ রাজনৈতিক নেতাদের সম্পত্তি এক শ্রেণীর কুচক্র ও সমর্থকরা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি করছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে দেখতে পেয়ে করিমগঞ্জ জেলা আমদানি রপ্তানী সমন্বয়ক টিম প্রচণ্ডভাবে উদ্বিগ্ন ও হতাশ।
যেহেতু দীর্ঘ দিন থেকে ইন্দো-বাংলা সম্পর্ক ছিলো বন্ধুত্বপূর্ণ তাই আমরা নির্বিঘ্নে আমাদের আমদানি রপ্তানি ব্যবসা চালিয়ে আসছি। বর্তমান অরাজক ও হিংসাত্মক পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সাহস পাচ্ছি না। তদোপরি বাংলাদেশের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভারত বিরোধী চক্র অত্যন্ত সক্রিয়। এই পরিস্থিতিতে রপ্তানি ব্যবসা চালিয়ে গেলে ভারত বিরোধী কুচক্রদের হাতে রপ্তানি দ্রব্য, পরিবহন সহ চালকদের নিরাপত্তাহীনতার আশংকা রয়েছে। বর্তমানে ভারত সরকার বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের অস্থির ও হিংসাত্মক রাজনৈতিক সকল বিষয় খুটিয়ে খুটিয়ে নিরীক্ষন করছে। ভারতীয় জনগণ ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য সীমান্তে সকল ধরণের সতর্কতা জারী রেখেছে।
যতদিন পর্যন্ত স্থিতিশীল সরকার, আইনের শাসনের মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিরতা, নিরাপত্তার সুনিশ্চয়তা ও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ব্যবসার নিরাপত্তার সুনিশ্চয়তা না আসছে ততোদিন পর্যন্ত সকল প্রকার আন্তর্জাতিক ব্যবসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে করিমগঞ্জ জেলা আমদানি রপ্তানী সমন্বয়ক টিম। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, সেনা কর্তৃপক্ষ ও সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহবান রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীন অরাজক পরিস্থিতিকে শান্ত ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনে দেশের বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জান-মাল ও ধর্মীয় উপাসনালয়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এগিয়ে আসার। অন্যথায় পার্শবর্তী বন্ধু রাষ্ট্র হিসাবে ভারতেও এর সুদুর প্রসারী প্রভাব বিস্তার করে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অঙ্গনে অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে যা বাংলাদেশের পক্ষে মেরামত করা দুষ্কর হবে।
আবু সালেহ ফখরুদ্দিন, অমরেশ রায়, অজয় কুমার দেব, আব্দুল হাফিজ চৌধুরী, সত্যরঞ্জন দে, রুহুল কুদ্দুস, শীবাজী চৌধুরী৷ ইমদাদুল চৌধুরী রাংকু, আবিদুন নুর চৌধুরী মনোজীত পালরা আশা করে বলেন, বাংলাদেশের সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়ী সমাজের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আগামী তত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন পরিস্থিতি শান্ত, সুশৃঙ্খল ও স্বাভাবিক হবে।সেই সাথে ইন্দো-বাংলা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য সহ যাতায়াত আগের মতো চলমান, সুদৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী হবে।