হাইলাকান্দিতে ৪৮টি গ্রামের ৪৭২২ জন বন্যার কবলে

সোমবার পরিস্থিতি দেখতে আসছেন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু

বরাক তরঙ্গ, ১ জুন : হাইলাকান্দি জেলার বন্যা পরিস্থিতি দেখতে সোমবার হাইলাকান্দি আসছেন  জেলার অভিভাবক মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল। তিনি সোমবার বেলা আড়াইটায় জেলা কমিশনারের সভাকক্ষে বন্যা  মোকাবিলার  প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হবেন। জেলায় চলতি বর্ষা মরশুমের প্রথম দফার বন্যায় এ পর্যন্ত ৪৮টি গ্রামের ৪ হাজার ৭২২ জন লোক বন্যার কবলে পড়েছেন। এরমধ্যে লালা রাজস্ব সার্কলে ২৩২২ জন হাইলাকান্দি রাজস্ব সার্কলে ৭০০ জন আলগাপুর রাজস্ব সার্কেলে ৪২০ জন, এবং কাটলিছড়া রাজস্ব সার্কলে ১ হাজার ২৮০ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রথম দফার বন্যায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৭১টি গবাদি পশু বন্যার কবলে পড়েছে। এদিকে রবিবার লালা রাজস্ব সার্কেলে  প্রশাসনের তৎপরতায় এসডিআরএফ বাহিনীর দ্বারা ৮৩ জন জলবন্দি মানুষকে উদ্ধার করা হয়। ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত হিসাব নিরূপনের জন্য প্রশাসন থেকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এদিকে, ভূমিধসের ফলে বালিকান্দি গ্রান্ট ও বাঁশডহর দ্বিতীয় খণ্ডে মোট ৪৪ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বালিকান্দি গ্রান্টের  ভূমিধসের ফলে আশ্রয় নেওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে রবিবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই  দিনের  ত্রান বালিকান্দি শিশু কল্যাণ এলপি স্কুলে বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে রবিবার সন্ধ্যায় হাইলাকান্দি রাজস্ব সার্কেলে পাঁচটিটি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এর মধ্যে  চাঁন্দপুর এলপি স্কুলে ১২০ জন, সিরিষপুরের এসকে দেব হাইস্কুলে ১৪০ জন এবং নারাইনপুর এমভি স্কুলে ৮৫ জন দুর্গত আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া মাটিজুরি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, দুর্গাছড়া এমভি স্কুলেও ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। কাটলিছড়া সার্কেলে জিসিএম ভি স্কুল এবং ৪৬৯  নং সোনাছড়া হিন্দি এলপি স্কুলেও প্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। আলগাপুর সার্কেলে এসি গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলেও ত্রান শিবির চালু হয়েছে।

এছাড়া লালা সার্কলের অধীনে নিমাইচাঁন্দপুর হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে একটি এবং মাহমুদপুর এম বি স্কুলেও একটি ত্রান শিবির খোলা হয়েছে  রবিবার বিকেলে। প্রশাসন থেকে এই ত্রানশিবির গুলিতে রিলিফ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ত্রাণ শিবির গুলিতে স্বাস্থ্য, পিএইচই এবং সমাজকল্যাণ বিভাগের পরিষেবা যথাযথভাবে দিতে জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এছাড়া প্রশাসন থেকে জলবন্দী লোকদেরকে উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং নদী বাঁধগুলির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা হচ্ছে।।

Author

Spread the News