স্মার্ট মিটারের বিষয়ে গুরুত্ব দিক সরকার
বরাক তরঙ্গ, ২৬ আগস্ট, সোমবার,
প্রিপেড স্মার্ট মিটার আদৌ কি অর্থ লুণ্ঠনের মিটার! এই মিটার নিয়ে রাজ্যজুড়ে চলছে আন্দোলন। স্মার্ট মিটার ঘরে লাগানোর পর কোথাও তিন গুণ বা চার গুণ, এমনকি অস্বাভাবিকভাবে বিল আসছে। আর এই বিল পরিশোধ করতে গিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে।
মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মানুষ বিভিন্ন কাজে বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়া; পড়াশুনা; চিকিৎসা সর্বক্ষেত্রেই বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার দরুন আগের তুলনায় বিদ্যুতের খরচ বেড়েছে। তাই বিদ্যুতের বিলও বাড়ার কথাও। কিন্তু স্মার্ট মিটার বসানোর পর রাজ্যের অধিকাংশের ঘরে যে বিল আসছে তা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না গ্রাহকরা। এ নিয়ে রাজ্যের কোন না কোন অঞ্চলে প্রতিবাদের আওয়াজ উঠছে। একটি ফ্যান ও দুটি লাইট থাকা ঘরে বিল দেখে চমকে যান গ্রাহকরা। এসব ঘরে ডিজিটাল মিটার থাকাকালীন ২০০ থেকে ২৫০ টাকার ভেতরে বিল করা হতো কিন্তু স্মার্ট মিটার বসানো পর সপ্তাহে তিন থেকে চারশো টাকা রিচার্জ করাতে হচ্ছে। দিনের রোজগারের ওপর চলা পরিবারগুলো বিদ্যুতের খরচ বহন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। এমন কি মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো বিদ্যুতের বিল ভরতে গিয়ে দিশেহারা অবস্থায়। কেননা দেড় বা দুই হাজার টাকায় যাচ্ছে দুই সপ্তাহের মতো। এমতাবস্থায় মানুষের কাছে বিদ্যুতের বিল এক বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বিষয়টি রাজ্য সরকার গুরুত্ব সহকারে দেখা অত্যন্ত প্রয়োজন।
স্বাধীনতার পর ১৯৪৮ সালে তৈরি হওয়া বিদ্যুৎ আইন পরিবর্তন করে ২০০৩ সালে এনডিএ সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে ধীরে ধীরে বেসরকারিকরণের দিকে ঠেলে দেয়। ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইউপিএ সরকার ক্ষমতাসীন থাকলেও এনডিএ সরকারের বিদ্যুৎ খণ্ডকে ধ্বংস করতে তৈরি করা আইনের কোন পরিবর্তন করেনি। ফলে আজ গ্রাহকরা এমন পরিস্থিতির সন্মুখীন৷