তানিয়ারকে সহমর্মিতার হাত বাড়ালেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল দেববর্মা

বরাক তরঙ্গ, ১১ মে : ত্রিপুরার জম্পুইজলা মহকুমার এক নির্ভীক কন্যা তানিয়া আক্তার, যিনি চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে উত্তীর্ণ হয়েছেন মাধ্যমিকে আজ তাঁর পাশে দাঁড়ালেন সমাজসেবী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল দেববর্মা। শনিবার দুপুরে মৃণালবাবু নিজে ছুটে যান তানিয়ার জগাইবাড়ি গ্রামে। তানিয়া ও তাঁর মায়ের সঙ্গে সময় কাটিয়ে তিনি খোঁজ নেন তাঁদের পারিবারিক অবস্থা ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনার।তারপর তানিয়ার হাতে তুলে দেন প্রয়োজনীয় শিক্ষা সামগ্রী এবং কিছু নগদ অর্থ। এই সহানুভূতিশীল উদ্যোগ শুধুই দান নয়—এ এক মন থেকে আসা দায়বদ্ধতা।

তানিয়াকে উদ্দেশ্য করে মৃণাল দেববর্মা বলেন, তুমি আমাদের গর্ব। দরিদ্রতা কোনও বাধা নয়, যদি মনের জোর থাকে। ভালো করে পড়াশোনা করলে আমি সর্বদা তোমার পাশে থাকব। তাঁর কণ্ঠে ছিল গর্ব, চোখে ছিল ভালোবাসা। তিনি জানান, তানিয়া হচ্ছেন জম্পুইজলা মহকুমার একমাত্র দরিদ্র ঘরের কন্যা, যিনি সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে মাধ্যমিক পাশ করেছেন। এ যেন শুধু একটি ফল নয়—এ এক প্রেরণা, এক দৃষ্টান্ত। তানিয়া ও তাঁর মা মৃণাল বাবুর এই আন্তরিক সাহায্যে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তানিয়ার চোখে তখন নতুন স্বপ্নের আলো, আর মায়ের চোখে কৃতজ্ঞতা ও ভরসার অশ্রু।এই মানবিক উদ্যোগকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় প্রশংসার ঝড় বয়ে যায়।

তানিয়ারকে সহমর্মিতার হাত বাড়ালেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল দেববর্মা

বিশিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলতাফ আলি মেমোরিয়াল এডুকেশন ফাউন্ডেশন-এর চেয়ারম্যান মওলানা জাকির হোসেন আলজলিলি সহ অনেকেই মৃণাল দেববর্মার এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তানিয়ার মতো প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে সমাজকে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিলেন মৃণাল দেববর্মা। এই ঘটনা প্রমাণ করে—উন্নয়নের আসল ভিত্তি হলো মানুষের পাশে দাঁড়ানো, বিশেষ করে যখন কেউ স্বপ্ন দেখতে চায় মাটির ঘরে বসেই।

Author

Spread the News