প্রজাতন্ত্র দিবসে সীমান্তে শহিদ হওয়া পুলিশকর্মীকে মরণোত্তর সম্মান ধলাই প্রেস ক্লাবের

প্রজাতন্ত্র দিবসে সীমান্তে শহিদ হওয়া পুলিশকর্মীকে মরণোত্তর সম্মান ধলাই প্রেস ক্লাবের

বরাক তরঙ্গ, ২৬ জানুয়ারি : প্রজাতন্ত্র দিবসে অসম-মিজোরাম সীমান্তে দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে শহিদ হওয়া ধলাই পুনিরমুখের পুলিশ কর্মী মজরুল হক বড়ভূইয়াকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করল ধলাই প্রেস ক্লাব। রবিবার ৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে প্রেসক্লাবের সদস্যরা পূর্ব ধলাইর পালংঘাট জিপির রুকনি প্রথম খণ্ড পুনিরমুখে শহিদ অসম পুলিশের জওয়ান মজরুল হক বড়ভূইয়ার বাড়িতে পৌঁছে তাঁর বাবা ও সন্তানদের হাতে মরণোত্তর সম্মানটি তুলে দেন।

তাঁরা তাঁদের সম্মাননা স্মারক, উত্তরীয়, মিষ্টি তুলে দেন। পরে শহিদের কবরস্থানে গিয়ে তার আত্মার চিরশান্তি কামনা করে দোয়া প্রার্থণা করা ও নিরবতা পালন করা হয়। এর আগে অভিশপ্ত দিনের প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে প্রয়াতের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন ধলাই প্রেস ক্লাব সভাপতি আমির হোসেন লস্কর, কোষাধ্যক্ষ রাজীব হোসেন মজুমদার প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ধলাই প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিবেকানন্দ দাস, ভঞ্জন দাস, সাবির আহমেদ মজুমদার, বিক্রমবিজয় দাস, প্রিতম নাথ, সাহান উদ্দিন লস্কর, সাইদুর রহমান মজুমদার, বিক্রম রায়, দিলোয়ার হোসেন বড়ভূইয়া প্রমুখ। শহীদ পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন শহিদ জওয়ানের বাবা আব্দুল রেজাক বড়ভূইয়া, কাকা আব্দুল হাফিজ বড়ভূইয়া, মেয়ে মুমিতা পারভিন বড়ভূইয়া ও ছেলে মকসুদুল বড়ভূইয়া প্রমুখ।

প্রজাতন্ত্র দিবসে সীমান্তে শহিদ হওয়া পুলিশকর্মীকে মরণোত্তর সম্মান ধলাই প্রেস ক্লাবের

এদিনের অনুষ্ঠান শেষে ধলাই প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে ২৬ জুলাই ২০২১ অসম-মিজোরাম সীমান্তে মৃত্যু বরণ করা পাঁচজন পুলিশ জওয়ানকে শীঘ্রই সরকারিভাবে শহিদ স্বীকৃতি দেওয়া, শহিদ পরিবারকে পূর্ণ মর্যাদা দেওয়া এবং শহিদদের স্মরণে স্মৃতি স্মারক তৈরি করার দাবি জানানো হয়। উল্লেখ্য, সীমান্তে ২০২১ সালে ২৬ জুলাই সীমা বিবাদের জেরে লায়লাপুরে দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে শহিদ হন পাঁচজন পুলিশ কর্মী। এরমধ্যে ছিলেন মজরুল হক।

প্রজাতন্ত্র দিবসে সীমান্তে শহিদ হওয়া পুলিশকর্মীকে মরণোত্তর সম্মান ধলাই প্রেস ক্লাবের
প্রজাতন্ত্র দিবসে সীমান্তে শহিদ হওয়া পুলিশকর্মীকে মরণোত্তর সম্মান ধলাই প্রেস ক্লাবের

Author

Spread the News