ফটো মিউসিঙ্গ প্রাইজমানি ফোটোগ্রফি প্রতিযোগিতায় প্রথম শিলচরের দিব্যেন্দু
বরাক তরঙ্গ, ২১ আগস্ট : সম্প্রতি গুয়াহাটি আয়োজিত খ্যাতনামা উত্তর পূর্বাঞ্চলীর ১২তম ফটো মিউসিঙ্গ প্রাইজমানি ফোটোগ্রফি প্রতিযোগিতা ২০২৪ এর ফলাফল গত ১৯ অগাস্ট প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন শিলচরের দিব্যেন্দু দাস, দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন শিবসাগর জেলার কঙ্কনজ্যোতি কলিতা এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন নাগাল্যান্ডের টসেটশল নাড়ো, তাছাড়াও ৯ জন আলোকচিত্রিকে সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আগামী রবিবার, ২৫ অগাস্ট গুয়াহাটির ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বিল্ডিং এর পানবাজারস্থিত সেমিনার হলে প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় তথা সান্ত্বনা পুরস্কার এর মূল্য ছিল যথাক্রমে ১৫০০০ টাকা, ১০০০০টাকা ও ৭৫০০ টাকা।
উল্লেখ্য, শিলচর আসাম ইউনিভার্সিটিতে প্রাইভেট সেক্রেটারি পদে কর্মরত দিব্যেন্দু, বরাক তথা অসম এবং ভারতের ল্যান্ডস্ক্যাপে ফোটোগ্রাফি জগতে এক উল্লেখযোগ্য নাম। ছবির টানে বছরের বিভিন্ন সময় দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ঘুরে বেড়ান। তার এই প্রতিভার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং নিবন্ধক, তার সহকর্মীগন সবসময় তাকে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করে থাকেন। এর আগেও উনি ১৩০টির ও বেশি পুরস্কার দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা থেকে পেয়েছেন। এই মাসেই তার তোলা অন্য একটি ছবি দেশের প্রথম সারির ফোটোগ্রাফি ম্যাগাজিন এশিয়ান ফোটোগ্রাফিতে ও ‘ফটোগ্রাফ অফ টি মান্থ’ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে। অতীতে বিভিন্ন ও সময়ে তার অনেক ছবি ও ইন্টারভিউ দেশের বিভিন্ন ম্যাগাজিনে এবং ইউটিউব চ্যানেলে এ প্রকাশিত হয়েছে।
এবারের তার পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবিটি গতমাসে লাদাখ এর কার্গিল এ তোলা সূর্য্যন্তের সময়ের এক দুর্দান্ত ছবি, যার টাইটেল ছিল “গ্রান্ড ফিনালে” যার বাংলা অর্থ “চিত্তাকর্ষক সমাপ্তি’। ছবিটির যার সামনে ছিল আঁকাবাঁকা সুরু নদী তার ঠিক পেছনে পাহাড়ের একটা কোন থেকে সূর্যাস্থের শেষ কিরণ বিচ্ছুরিত হচ্ছিলো, যা তৎক্ষণাৎ তিনি ক্যামেরাবন্দি করেন। দিব্যেন্দু এই সাফল্য তার পরিবার ও জনাকয়েক ঘনিষ্ট বন্ধুবান্ধব ও তার শুভান্যুধায়ী দের সাথে ভাগ করে নিতে চান বলে জানিয়েছেন। বিশেষ করে তার পরিবার তার এই ফটোগ্রাফির জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। তিনি আরো জানিয়েছেন যে এই পুরস্কার তিনি তার সদ্য প্রয়াত মা কে উৎসর্গ করতে চান। উল্লেখ্য, গত বছর তিনি যখন ওড়িষার মঙ্গলাজুড়িতে ছবি তুলতে ব্যস্ত ঠিক তখন হঠাৎ করে সংবাদ আসে যে তার মা প্রয়াত হয়েছেন, সংবাদ পেয়ে তড়িঘড়ি সব ফেলে বাড়ি ফেরেন। দিব্যেন্দু জানিয়েছে যেহেতু তিনি তার ব্যাক্তিগত কাজে ওই সময় গুয়াহাটি তে থাকবেন তাই পুরস্কার বিতরণী সভায় ও উপস্থিত থাকবেন।