ডিআরইউসিসি সভায় দুধপাতিলে রেলস্টেশন স্থাপনের দাবি হারাণের
পিএনসি, লামডিং।
বরাক তরঙ্গ, ২১ মার্চ : লামডিঙে ডিআরইউসিসি (ডিভিশনাল রেলওয়ে ইউজারস কনসালটেটিভ কমিটি)র এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার আয়োজিত সভায় কমিটির অন্যতম সদস্য সাংবাদিক হারাণ দে শিলচরকে একটি বিশ্বমানের রেলস্টেশনে উন্নীত করার ঘোষণা দেওয়ায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তবে হারাণবাবু বলেন, শিলচরের বিকল্প হিসেবে দুধপাতিল নেতাজি নগরে (নিউ শিলচর) একটি বিশ্বমানের নতুন রেলস্টেশন স্থাপন করা যেতে পারে। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে শিলচর স্টেশনে জায়গার অপ্রতুলতার জন্য নতুন কোন ট্রেন চালু করা সম্ভব নয় বলে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল। তাই অবিলম্বে নিউ শিলচরে একটি নতুন রেলস্টেশন নির্মাণ করে বন্দেভারত ও মণিপুরের কৌটায় রাজধানী এক্সপ্রেস সহ আরও কিছু দূরপাল্লার রেলসেবা চালু করা উচিত। তিনি লঙ্কা এলাকার গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস, শিলচর-রঙ্গিয়া এক্সপ্রেস এবং শিলচরগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের লঙ্কা স্টেশনে একটি স্টপেজের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
হারাণবাবু আরও বলেন, বেশীর ভাগ দূরপাল্লার ট্রেন মান্দারদিছা ও পাথর খোলার পরিবর্তে লামডিঙ হয়ে যাতায়াত করে বলে ত্রিপুরা ও বরাক উপত্যকাগামী ট্রেন অনেক সময় দেরীতে চলাচল করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হারাণবাবু দূরপাল্লার ট্রেন গুলো মান্দারডিছা ও পাথর খোলার কম দূরত্বের পথ দিয়ে চালাতে রেল কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন। এছাড়া তিনি আরও যেসকল বিষয়ে বৈঠকে মতামত প্রকাশ করেন এর মধ্যে রয়েছে শ্রীকোণায় পুরনো স্টেশন চালু করা, মিজোরামের ভৈরবী থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চালু করা, ত্রিপুরার ধর্মনগর থেকে শিলচর পর্যন্ত বন্ধ হয়ে থাকা দৈনিক ট্রেন চালু করা, শিলচর ও কলকাতার মধ্যে একটি দ্রুতগামী ট্রেন চালু করা, জাটিঙ্গা হয়ে লংঙ্কা ও দুধপাতিলের মধ্যে বিকল্প রেলওয়ের জন্য বর্তমানে চলা জরিপের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা, লামডিঙে রেলওয়ের একজন জনসংযোগ ইন্সপেক্টর নিয়োগ করা এবং শিলচরে রেলওয়ের একটি ডিভিশনাল অফিস স্থাপন।
শিলচরে রেলওয়ের ডিভিশনাল অফিস স্থাপন সম্পর্কে হারাণবাবু বলেন যে ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি রাজ্য সভায় তদানীন্তন রেল মন্ত্রী মল্লিকার্জুন খারগে এবিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গত এগারো বছরেও নানা অজুহাতে দেখিয়ে শিলচরে একটি ডিভিশনাল অফিস স্থাপন না করায় তিনি আশ্চর্য প্রকাশ করেন।

এদিনের সভায় লামডিঙের ডিআরএম তথা ডিআরইউসিসি র সভাপতি সমীর লোহানী পৌরোহিত্য করেন। বৈঠকে অন্যান্য সদস্য দের মধ্যে শুভ্র জ্যোতি সরকার, নারায়ন দত্ত রায় ও সোনেশ্বর বারহি অংশ নেন। মিজোরাম, মণিপুর , নাগালেনড ও ত্রিপুরা থেকে আগত সদস্য রা তাঁদের এলাকার রেলের সমস্যা তুলে ধরেন। শুরুতে রেলের সিনিয়র ডিসিএম তথা ডিআর ইউ সিসির সম্পাদক অমিতাভ মিশ্র উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন।

বৈঠকের শেষে ভোটের মাধ্যমে ডিআরইউসিসির একজন সদস্যকে মালিগাঁওয়ে জেডআরইউসিসিতে সদস্য পদে নির্বাচিত করা হয়। এই ভোটের মাধ্যমে হারাণ দে জেডআরআরইউসিসির সদস্য মনোনীত হন।