সংঘর্ষ বিরতির কয়েক ঘণ্টা পরই ফের সীমান্তে গুলিবর্ষণ, গুলিতে মৃত বিএসএফ জওয়ান
১০ মে : সংঘর্ষ বিরতির কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই ফের জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে গুলিবর্ষণ (Ceasefire Violation) শুরু করেছে পাকিস্তান (Pakistan)। শনিবার বিকেল পাঁচটা থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই চুক্তি ভেঙ্গে ফের হামলা চালায় পাকিস্তান। শুধু গুলি নয় ড্রোন হামলাও চালানো হয়। জম্মু-কাশ্মীর সীমান্ত লাগোয়া অন্তত ১১ টি জায়গায় গুলিবর্ষণ করা হয়। যার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী। পাক হামলার জেরে সীমান্তে শহিদ হয়েছেন এক বিএসএফ (BSF) জওয়ান। মহম্মদ ইমতিয়াজ নামে ওই জওয়ান আর এস পুরা সেক্টরে কর্মরত ছিলেন। বিএসএফ জম্মুর তরফে এই মৃত্যুর কথা স্বীকার করে নিয়ে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়েছে। এই গোলাগুলির ঘটনায় আরও সাতজন জখম হয়েছেন তাদেরকে কাছাকাছি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এদিন বিকেল ৩:১৫ মিনিট নাগাদ পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন ভারতের ডিজিএমওকে ফোন করে অস্ত্র বিরতি আর্জি জানান। পাকিস্তানের প্রস্তাবে রাজি হয় ভারত। বিকেল পাঁচটা থেকে সমস্ত রকম হামলা বন্ধ রাখতে সম্মত হয় দুই দেশ। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের তরফে টুইট করে অস্ত্র বিরতির কথা জানিয়ে দুই দেশকে ধন্যবাদ জানানো হয়। ঠিক হয় আগামী ১২ই মে দুই দেশের ডিজিএমও পর্যায়ে ফের বৈঠক হবে। কিন্তু এই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ঘন্টা খানেকের মধ্যেই মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপরই পাকিস্তানের তরফ থেকে ছোড়া গুলিতে বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ভারত। এখন ভারত পালটা হামলার পথে হাটে কিনা সেটাই দেখার।
শনিবার রাতের দিকে সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী পাকিস্তানের তরফে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘অত্যন্ত নিন্দনীয় এই ঘটনা এবং পাকিস্তান এর জন্য দায়ী। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে ভারত।’
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল।