পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলা কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না : মুখ্যমন্ত্রী শর্মা
বিশ্বজিৎ আচার্য, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৬ এপ্রিল : পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলা কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। সবাইকে এক এক করে কারাগারে পাঠানো হবে। শনিবার কাছাড় জেলা থেকে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলা ২ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উধারবন্দের হাতিছড়া চা-বাগানের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত বিজয় সংকল্প সমাবেশে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্ৰী ড. হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা। তিনি বলেন, কাছাড় জেলার সব আসনে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হবে। রাজ্যে যখন পঞ্চায়েত নির্বাচন উৎসাহের সঙ্গে শুরু হয়, তখন কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ভারতের নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। এর বিপরীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংকল্প নেন যে জঙ্গিরা যেখানে থাকবে সেখানে গিয়ে তাদের হত্যা করা হবে। আমাদের দেশে যারা দেশদ্রোহী রয়েছে, তাঁদের চিহ্নিত করে কারাগারে পাঠানো হবে। আজ কাছাড় জেলা থেকে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলা ২ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলা চামচাদের জেলে পুরে রাখা হবে। কাউকে ছাড়া হবে না। পাকিস্তানের চামচাদের চুন চুন কো মারা হবে। অসম মোদিজির সঙ্গে আছে। আমরা কেন কাশ্মীর যাব না। আমরা কাশ্মীর যাব। ভারতকে বিশ্বগুরু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে মোদিজীর সঙ্গে থাকব। পাকিস্তানকে বড় ধরণের শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা মোদিজির সঙ্গে থাকব।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, আগামী ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন বিগত নয় বছর এবং কংগ্রেসের ১৫ বছর তুলনা করলে দেখা যায় যে কোন সরকারের আমলে কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বরাক উপত্যকায় এর আগে এতো বার কেউ আসেনি। তিনি বরাক উপত্যকায় যতবার এসেছেন, ততোবার কেউ আসেনি। বরাক উপত্যকা অসমের এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান। অসমে বর্তমান কোন ধরনের উগ্রবাদী সমস্যা নেই। বরাক উপত্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। গুয়াহাটি থেকে মেঘালয় হয়ে বরাক উপত্যকায় যাতায়াতের জন্য মেগা করিডর নির্মাণ হবে। মধুরাঘাটে সেতু, শিলচরের ফ্লাই ওভার,হাইলাকান্দিতে একটি মেডিক্যল কলেজ, অসম মালা ইত্যাদির কাজ হচ্ছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে বরাক উপত্যকার উন্নয়নে মাইলস্টোন তৈরি করবে।

তিনি বলেন, কংগ্রেস লুঙ্গি, ধূতি, সুতা, কম্বল ও মশারি দিয়েছে। কিন্তু বিজেপি জনগণের মানোন্নয়নে কাজ করে। রেশন কার্ডের মাধ্যমে ডাল, চিনি ও লবন বণ্টণ করা হবে।কাছাড়ের প্রত্যেক বিধানসভা কেন্দ্রে ৫ হাজার করে অরুণোদয় প্রকল্পের সংখ্যা বৃদ্ধি, উজ্জ্বলা গেস সিলিন্ডার মাত্র আড়াইশো টাকায় , সাধারণ গেস সিলিন্ডারে ভতুর্কি কম করা হবে, মহিলা উদ্যমিতা যোজনা, সেপ্টেম্বর মাসে শিলচর পুর নিগম নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা ইত্যাদি সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

এদিন বিজয় সংকল্প সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দুই মন্ত্ৰী কৌশিক রায় ও কৃষ্ণেন্দু পাল, তিন বিধায়ক দীপায়ন চক্ৰবৰ্তী, মিহির কান্তি সোম ও নীহার রঞ্জন দাস, কাছার জেলা সভাপতি রূপম সাহা, প্ৰাক্তন বিধায়ক দিলীপ কুমার পাল, অমরচান্দ জৈন, রাজদীপ গোয়ালা, রাজ্য সম্পাদক কণাদ পুরকায়স্থ, বরিষ্ঠ নেতা নিত্যভূষণ দে, রীণা সিংহ।