সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৯৭ শতাংশ আবাস তৈরীর কাজ শেষ হবে : রঞ্জিত

বিশ্বজিৎ আচার্য, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২১ আগস্ট : বরাক ছাড়ার আগে বুধবার সকালে কাছাড় জেলা বিজেপির কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করলেন মন্ত্রী রঞ্জিত দাস। সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী রঞ্জিত দাস বলেন, রাজ্যে ৪০ লক্ষ ভুয়া রেশন কার্ড খোঁজে বের করার পাশাপাশি সরবরাহ বিভাগের তরফে ইতিমধ্যে ৫০ লক্ষ রেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। এদিকে, রেশন কার্ড থাকা মানুষের বাদ পড়া পরিবার সদস্যদের নাম শীঘ্রই অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে এদিন ঘোষণা করেছেন তিনি। অপারেটরদের ভুলের কারণে রেশন কার্ডে রাজ্যের অসংখ্য পরিবার সদস্যদের অন্তর্ভুক্তিতে বিসংগতি দেখা গেছে। প্রকৃত মানুষের নাম বাদ পড়ার বিষয়টি সরকারের নজরে রয়েছে। খুব শীঘ্রই বাদ পড়া মানুষের নাম রেশন কার্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।রাজ্যের প্রত্যেক জেলার জেলা শাসককে ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে রাজ্যের ১০ লক্ষ প্রভাবশালী মানুষ তাঁদের রেশন কার্ড সরকারের কাছে তুলে ধরেছেন। সব মিলিয়ে আসামে ৫০ লক্ষ রেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী রঞ্জিত দাস। বর্তমানে রাজ্যে রেশন কার্ডের সংখ্যা ৬৬২৫৯১৭টি বলে জানিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রী আরও জানান আগামী ডিসেম্বর মাসে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে দলীয় কোনও চিহ্ন থাকবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। জনগণ নয় এবার পঞ্চায়েত সভাপতি নির্বাচিত করবেন পঞ্চায়েতের গ্রুপ সদস্যরা। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে পঞ্চায়েত এবং ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্লক রি -অর্গানাইজেশন করা হবে। ২০০১ সালের সেন্সাস অনুযায়ী এই ব্লক রি-অর্গানাইজেশন করা হবে। এবং এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর ডিসেম্বরে পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত ও গ্রামউন্নয়ন মন্ত্রী রঞ্জিত দাস।

সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৯৭ শতাংশ আবাস তৈরীর কাজ শেষ হবে : রঞ্জিত

মন্ত্রী বলেন, করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দিতে রাস্তার হাল অনেকটা ভালো হলেও কাছাড়ে তিনি দেখতে পেয়েছেন উল্টো চিত্র। তবে কাছাড়ের রাস্তার হালও ফিরবে শীঘ্রই। কাজের জন্য বর্তমানে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে।

সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৯৭ শতাংশ আবাস তৈরীর কাজ শেষ হবে : রঞ্জিত

এ দিন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে গৃহ নির্মাণ পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন মন্ত্রী। তিনি জানান গোটা রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে ২০ লক্ষ গৃহ নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত তৈরি হয়ে গেছে ১৯ লক্ষ ২১ হাজার গৃহ। এক্ষেত্রে কাছাড়ের পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি জানান লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১,০১,৪৬১, এরমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে ৯৪,৫৭৩টি গৃহ, শতকরা হিসেবে ৯২’২৩ শতাংশ। হাইলাকান্দিতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৩,৭২৪, কাজ শেষ হয়েছে এর মধ্যে ৪০,২৪২টি ঘরের, শতকরা হিসেবে ৯২.০২ শতাংশ। এবং করিমগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭২,১৬২। তৈরি হয়েছে ৬৬,৭৫২টি। শতকরা হিসেবে ৯২.৫২ শতাংশ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি জানান আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ৯৬ থেকে ৯৭ শতাংশ গৃহ তৈরীর কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।

Author

Spread the News