মুক্তারাম রোডের জমাজলের সমস্যা, সরেজমিন খতিয়ে দেখতে বিজেপির প্রতিনিধি দল

দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৪ মে : শিলচর কনকপুর রোডের দ্বিতীয় খণ্ডের মুক্তারাম রোডের জমাজলের সমস্যা নিয়ে প্রত্যেক বছর স্থানীয় জনগণের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গত দু’দিনের বৃষ্টিতে একই অবস্থা হয়। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোডের বাসিন্দারা। এমনটা জানতে পেরে  শনিবার দুপুরে বিজেপি দলের শিলচরের তিন মণ্ডলের যথাক্রমে নিউ শিলচর মণ্ডলের সভাপতি দুলাল দাস, মধ্য শহর মণ্ডলের সভাপতি হীরক চৌধুরী ও শিলচর ব্লক মণ্ডলের সভাপতি পিকলু দাস সহ বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ উপস্থিত হয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন ও ক্ষুব্ধ জনগণের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন এবং  জমাজলের সমস্যার সমাধান বিষয়ে শান্তিপূর্ণভাবে পরামর্শ নেন।

এদিন মুক্তরাম রোডের সভাপতি সীতাংশু দাস বলেন, প্রত্যেক বছর বৃষ্টির মরসুমে মুক্তরাম রোডের সংলগ্ন পেছনের দিকের পল্লশ্রী লেন, কালীকৃষ্ণ লেনের জমাজলগুলো সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সহ রাস্তাটি মধ্যভাগটি নীচু থাকাতে জমাজল গুলো গলিতে এসে থেমে থাকে, বিগত দিনে আরও বেশি জমাজলের সমস্যা ছিল কিন্তু বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তীর বিশেষ তৎপরতা বহুলাংশে জমাজল থেকে রেহাই পেয়েছেন, আগামী দিনে আশা করছেন বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী ও বিভাগীয় কর্তৃপক্ষরা যদি আরেক বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন তাহলে আশা করা যায় যে পুরোদমে মুক্তারাম রোডের জমাজলে সমস্যা থেকে সুরাহা পাবেন তাঁরা।

মুক্তারাম রোডের জমাজলের সমস্যা, সরেজমিন খতিয়ে দেখতে বিজেপির প্রতিনিধি দল

নিউ শিলচর মণ্ডলের সভাপতি দুলাল দাস বলেন, শিলচর বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী সব সময় শিলচরের প্রত্যেকটি এলাকার জমাজল সহ রাস্তা নির্মাণের কাজের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন, কিন্তু এই জমাজলের সমস্যাটি বহু পুরোনো সমস্যা, তবুও বিধায়কের তৎপরতায় বহু অংশে বিগত দিনের তুলনায় শিলচরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটেছে। আর কিছু সংখ্যক বিরোধী দলের নেতারা তাদের অকর্মন্যতাকে লুকানোর চেষ্টায় কিছুসংখ্যক জমাজলের সমস্যাকে দেখিয়ে আগামী কর্পোরেশন নির্বাচনে বাজিমাত করার অপচেষ্টায় মেতে উঠেছেন, কিন্তু কংগ্ৰেসের শাসনের জমাজলের সমস্যা ছিল কিন্তু সমাধান ছিল না, আজ সেই সমস্যাগুলোকে সমাধানের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী। এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিলচরের সাংসদ প্রতিনিধি অমরেন্দ্র পাল, কাজল রায়, নিউ শিলচর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক শঙ।কর কুমার পাল, অলকা দাস, দেবাশিস সোম, সঞ্জয় রায়, বিপ্লব দে প্রমুখ।

Author

Spread the News