আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধ শিকার ও বন উজাড় রোধে সচেতনতা কর্মসূচি
দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৭ ফেব্রুয়ারি : আসাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশপাশে বেড়ে চলা অবৈধ শিকার ও বন উজাড়ের ঘটনায় উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার জীববিজ্ঞান ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগীয় ভবনের সামনে একটি সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। সূত্রের খবর, কিছু অসামাজিক ব্যক্তি নজরদারির অভাবের সুযোগ নিয়ে ইকো ফরেস্ট ও সংলগ্ন বনাঞ্চলে ঢুকে হাতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে বন্যপ্রাণী শিকারে লিপ্ত হচ্ছে। পাশাপাশি, তারা এই অঞ্চলের পরিবেশগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ চাম গাছ সহ বহু গাছ অবৈধভাবে কেটে ফেলছে।
সম্প্রতি বিভাগীয় বৈঠকে এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হয়, যেখানে অধ্যাপক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের উপর এই ধ্বংসাত্মক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই সংকট মোকাবিলায় বিভাগটি একটি সমষ্টিগত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। এতে গ্রামবাসী, চা-বাগানের প্রতিনিধি এবং বন দপ্তরের কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ দিনের সচেতনতা কর্মসূচির লক্ষ্য হল সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে একত্রিত করে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা এবং কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে অঞ্চলটির বন ও পরিবেশ সংরক্ষণে কঠোর নজরদারি এবং সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হবে ইপোসেস-এর ডিন অধ্যাপক পি চৌধুরী এবং জীববিজ্ঞান ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক অপরাজিতা দে সচেতন নাগরিককে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। সভা পরিচালনায় ছিলেন বিভাগীয় সহকারী অধ্যাপক ড.পান্না দেব। সভায় ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন ড. শুভন দত্তগুপ্ত।

