মৃদুল হোড় ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন অরুণাচল
পুরস্কার মঞ্চ থেকে না পাত্তা রানার্স ইন্ডিয়া ক্লাব দল, আয়োজকদের অপমান বলছেন অনেকে
ইকবাল লস্কর, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৩ আগস্ট : শিলচর ডিএসএ পরিচালিত মৃদুল হোড় নক আউট প্রাইজ মানি ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়নের খেতাব জিতল অরুণাচল এসএস। শুক্রবার সতীন্দ্রমোহন দেব মেমোরিয়াল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয় শেষে বাজিমাত করে অরুনাচল দল। খেলার ফলাফল নির্ধারিত হয় সাডেন ডেথে। নির্ধারিত সময়ে খেলা ২-২ গোলে সমতায় ছিল। টাইব্রেকারে উভয় দল তিনটি করে গোল করলে স্কোর দাঁড়ায় ৫-৫। সাডেন ডেথের প্রথম শট বারের উপর দিয়ে মারেন ইন্ডিয়া ক্লাবের ফুটবলার। এরপর অরুণাচল এস এসের জেঙ্গা রংমাই জয়সূচক গোলটি করে দলকে খেতাব এনে দেন।
এদিকে , খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে না পাত্তা হয়ে যায় রানার্স দল। রানার্স পুরস্কার নগদ ১০ হাজার টাকা সমেত ট্রফি। অর্থের পরিমাণটা একেবারে খারাপ না হলেও এর চাইতে মঞ্চ থেকে সম্মান গ্রহণ অনেক বড়। কিন্তু দেখা গেল এই সম্মান গ্রহণে নেই দল। যা ক্রীড়ার পরিপন্থী বলে মনে করছেন অনেকে। মৃদুল হোড় ট্রফি নকআউট ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ১৫ হাজার টাকা সমেত ট্রফি নিয়েছে অরুণাচল এসএস। চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার গ্রহণের পরেই রানার্স দল ইন্ডিয়া ক্লাবের জন্য বরাদ্দ ছিল দশ হাজার। কিন্তু ইন্ডিয়া ক্লাবের টাকা ও ট্রফি সমঝে নেওয়ার ঘোষণা দিলেও কাউকে পাওয়া যচ্ছিল না। পরে সেটা নিরুপায় হয়ে গ্রহণ করেন ক্লাবের সহসচিব পিনাক দে। যা উপস্থিত দর্শক, আয়োজক কিংবা অতিথিদের কাছে মোঠেই শুভনীয় নয়।
খেলার মাঠে এসব ঘটনা নতুন নয়। তবে এটা খেলার আদর্শের পরিপন্থী। জিতলে ট্রফি নিয়ে হিপ হিপ হুররে করবেন আর হারলে মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া আয়োজক সহ ক্রীড়ামোদী জনসাধারণকে অপমান ছাড়া আর কি হতে পারে ? আগামীতে জেলা ক্রীড়া সংস্থা এমন একটা বিধি আরোপ করুক যাতে পরাজিত দল পুরস্কার মঞ্চে উপস্থিত থাকাটা বাধ্যতামূলক হোক। নাইলে রানার্স পুরস্কারটাই বাতিল করে দিক, এমনটাই দাবি ফুটবলপ্রেমীদের। অনেকের দাবি, বিষয়টি ম্যানেজার্স মিটে আগেভাগে জানিয়ে দেওয়া হোক, যে হারলেও পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ঠিকঠাক অংশগ্রহণ যেন বাধ্যতামূলক হয়।