ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতিতে আনন্দ উৎসব ডেপলপমেন্ট কাউন্সিলর
বিশ্বজিৎ আচার্য ও দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ ২৯ অক্টোবর : বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য বেঙলি স্পিকিং ডেপলপমেন্ট কাউন্সিলের বিশেষ উদ্যোগে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনন্দ উৎসব পালন করা হয়। এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে এক আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার শিলচর বঙ্গভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ পরিমল শুক্লবৈদ্য। এ ছাড়া অতিথির আসনে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ ডাঃ রাজদীপ রায়, উদারবন্দের বিধায়ক মিহিরকান্তি সোম, শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, বিজেপি কাছাড় জেলার সভাপতি বিমলেন্দু রায়, শিলচর ডেভলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান মঞ্জুল দেব, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক বিশ্বতোষ চৌধুরী, রাজ্য বিজেপির সম্পাদক কণাদ পুরকায়স্থ, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক সীমা পাল, বাঙালি ডেভলপমেন্ট কাউন্সিলর সদস্য ডাঃ প্রবাল পাল চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় মুখ্য অতিথি সাংসদ পরিমল শুক্লবৈদ্য বক্তব্যে বলেন, প্রত্যেককে প্রত্যেকের মাতৃভাষাকে সম্মান দেওয়াকে প্রথম কর্তব্য, সেই কর্তব্যকে সবাইকে মেনে চলার প্রয়োজন রয়েছে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভাষার গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, ভাষাকে সম্মান দেওয়াটা হলো একধরনের মানবজাতিকে সম্মান জানানো।
এদিন বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দানে আনন্দ উৎসবের সূচনা হল সন্ধ্যালগ্নে ডাক-ঢোল বাজিয়ে উলুধ্বনির দিয়ে। স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে বেঙলি ডেপলপমেন্ট কাউন্সিলর চেয়ারম্যান রূপম সাহা বলেন, বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য বাঙালিদের কাছে গর্বের বিষয়, বাঙালি ভাষার অন্তর্ভুক্ত বাংলাভাষীদের জন্য গর্বের বিষয় আর বাঙালিরা বিজেপি সরকারের আমলে নিরাপদে আছে বলে নিরাপদে আছেন বলে মন্তব্য করেন। গুরুচরন কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রণয় ব্রহ্মচারী বলেন, ইতিহাসে মধ্যে একটি ইতিহাস থেকে যায়, অন্যান্য ভাষার গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাচীনভাষা, সংস্কৃতি ভাষা হলো দেবভাষা,এই দেব ভাষা থেকেই বাংলাভাষার সৃষ্টি, বাংলাভাষা হলো ঐক্যেরভাষা। বিমলেন্দু রায় বলেন,ভারত সরকার ইতোমধ্যে পাঁচটি ভাষা হিসাবে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, এরমধ্যে বাংলাভাষাও স্বীকৃতি পেয়েছে বলে তিনি গর্বিত। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সীমা পাল বলেন, বাংলা ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে বাংলাভাষার চর্চা চালিয়ে রাখার অনুরোধ জানান। বিধায়ক মিহির কান্তি সোম বলেন, দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও আজ বাংলাভাষা স্বীকৃতি পেয়েছে, মাতৃভাষা হলো মাতৃদগ্ধের থেকেও অনেক গুরুত্ব।
ড. বিশ্বতোষ চৌধুরী বলেন, পৃথিবীর মধ্যে কোনও ভাষা এত সংগ্ৰাম ও রক্ত ঝরাতে হয়নি, যতটুকু বাংলাভাষা রক্ষার জন্য রক্তঝরা সংগ্ৰাম ও আত্মবলিদান দিতে হয়েছিল। এই বাংলা ভাষার সংগ্ৰামকে কখনও ভুলা যাবে না। বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী বলেন, প্রত্যেক ভাষাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকার। সবসময় বাঙালিরা সকল ভাষাকে সঙ্গে নিয়ে চলার ক্ষমতা রাখেন, বাঙালিজাতি হলো সর্বকালের সংগ্ৰামী জাতি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন দেবাশিস পুরকায়স্থ। এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাছাড় জেলা বিজেপির সম্পাদক অভ্রজিৎ চক্রবর্তী (ঝলক) যুব মোর্চার কাছাড় জেলার অমিতেষ চক্রবর্তী, অজিত দেব,পুলক দাস, আশিষ হালদার, সঙ্গীত শিল্পী ভাস্কর দাস, মাম্পি ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা।