সভাপতির কুরসির দৌঁড়ে নয়, মানুষের দুর্গতি দেখে কাজ শুরু আক্তারের
বরাক তরঙ্গ, ২৪ মে : পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর গোটা রাজ্যে গ্রুপ সদস্যরা সভাপতির কুরসি দখল করতে নানা কৌশল অবলম্বন করে চলেছেন। কেউ প্রতাপ কাটিয়ে আবার কেউ বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে সমর্থন আদায়ের ব্যস্ত হয়ে করেছেন। এই সময় সোনাইয়ের দক্ষিণ সৈদপুর জিপির নবনির্বাচিত গ্রুপ সদস্যের স্বামীর কাজ থেকে সবাই মুগ্ধ হয়ে যান। জিপির ৬ নম্বর গ্রুপের সদস্যা রুমা বেগমের স্বামী আক্তার হোসেন সভাপতির দৌঁড়ে না গিয়ে নিজের গ্রুপের উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সম্প্রতি বৃষ্টির ধরুন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠায় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে যাতায়াতের উপযোগী করে তুলতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। দীর্ঘ রাস্তায় বেশ কয়েক লরি পাথর থাকা লালমাটি ফেলে গ্রুপের জনগণ যাতে স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারে সেব্যবস্থা করে দেন। আখতার হোসেনের এমন কাজ দেখে গ্রুপের জনগণ তার প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এদিকে, আক্তার হোসেন জানান তিনি আগেও তাঁর গ্রুপ এবং জিপির অসহায় মানুষের জন্য কাজ করেছেন। সাধ্যমত সাহায্য অসহযোগিতা ও করেছেন তিনি। সেই কাজ তিনি অব্যাহত রেখেছেন। তিনি পঞ্চায়েত সভাপতি কুরসির দৌঁড়ে রয়েছেন কি না জানতে চাইলে বলেন, যদি বাকি গ্রুপ সদস্যরা চান বা সমর্থন দেন তাহলে তিনিও এই গুরুর দায়িত্ব পালনে রাজি রয়েছেন। আখতার হোসেন বলেন তার লক্ষ্য হচ্ছে জিপির উন্নয়ন করা এবং সেই লক্ষ্যেই তিনি নির্বাচনে তার স্ত্রীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নামিয়েছিলেন। এবং গ্রুপের ভোটাররা তাঁকে সমর্থন জানিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী করেছেন। এতে তিনি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে জিপির উন্নয়ন স্তব্দ হয়ে পড়েছে, কেননা প্রতিবারই জিপি সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার পর মামলা জড়িয়ে পড়েন তারা। এতেই উন্নয়ন মুখ আর দেখেনি গ্রাম। এবারও যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সেজন্য তিনি সব গ্রুপ সদস্যের প্রতি আহ্বান রাখেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে জিপির উন্নয়নে সামিল হওয়ার অনুরোধ জানান।
