তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল এয়ার ইন্ডিয়া
২ জুন : পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর পাকিস্তানকে মোক্ষম জবাব দিয়েছিল ভারত। পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরি হতেই পাকিস্তানকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তুরস্ক। এমনকী পাকিস্তানে নিজেদের ড্রোনও পাঠিয়েছিল তুরস্ক। তারপরই ভারত সরকার তুরস্কের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পথে হেঁটেছে। তারই খেসারত দিতে হচ্ছে তুরস্ককে। এতদিন এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৭৭, বোয়িং ৭৮৭ বিমানগুলির ভারী রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল তুরস্কের সংস্থা ‘টার্কিশ টেকনিকের’ কাছে। এবার সেই সম্পর্ক ছিন্ন করল এয়ার ইন্ডিয়া।
রবিবার এক বিবৃতি দিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও এবং এমডি ক্যাম্পবেল উইলসন বলেছেন, তারা টার্কিশ টেকনিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছে। তাদের বদলে বিশ্বের অন্যান্য বিশ্বব্যাপী এমআরও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে রক্ষণাবেক্ষণ করাবেন তাঁরা।
এদিকে, দু’দিন আগেই কেন্দ্রের তরফে অপর এক বিমান সংস্থা ইন্ডিগোকে নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে তাঁরা তুরস্কের সংস্থা টার্কিশ এয়ারলাইন্সের সঙ্গে এয়ারক্রাফ্ট লিজে নেওয়ার চুক্তি বাতিল করে। মাত্র তিনি মাস সময়সীমা বেঁধে দেয় ভারত। ইন্ডিগো, টার্কিশ এয়ারলাইন্সের দুটি বোয়িং ৭৭৭এস লিজে নিয়ে অপারেট করে। তাদের কাছে এই এয়ারক্রাফ্ট সংক্রান্ত ‘পারমিট’ ছিল ৩১ মে পর্যন্ত। সেই অনুমোদনের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিল ইন্ডিগো। কেন্দ্রের তরফে সেই অনুমতির আবেদন খারিজ করা হয়েছে। পাল্টা ৩ মাসের মধ্যে এই চুক্তি শেষ করতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও অপারেশন সিঁদুরের পরপরই তুরস্কের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সংস্থা সেলেবি এয়ারপোর্ট সার্ভিসেসকে দেওয়া নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এই সংস্থা ভারতের ৯ বিমান বন্দরে গ্রাউন্ড সার্ভিসের কাজে যুক্ত ছিল। গত ১৫ মে ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির (বিসিএএস) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সেলেবির আবেদন করেছিল দিল্লি হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানির সময় সিল করা খামে সিঙ্গল বেঞ্চের হাতে একটি নথি তুলে দিয়েছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেছিলেন, ‘সরকারের কাছে ইনপুট ছিল, এবং এই পরিস্থিতিতে দেশের বিমানবন্দরগুলিতে সেলেবিকে কাজ করতে দেওয়া বিপজ্জনক হবে বলে মনে করা হয়েছিল।’
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল।