২৭ দিন পর তিন মার যুবকের মৃতদেহ সমঝে নিল পরিজনরা, কড়া নিরাপত্তা
কেএইচ লস্কর, লক্ষীপুর।
বরাক তরঙ্গ, ১০ আগস্ট : নিরাপত্তার চাদরে মোড়া মারকুলিনে পৌঁছে তিনজন মার যুবকের মৃতদেহ। ২৭ দিন পর শনিবার সকালে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে তিনজনের মৃতদেহ সমঝে নেন তাদের পরিজনরা। বেলা আড়াইটা নাগাদ মারকুলিনে পৌঁছেন মার সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ। অজস্র মার সম্প্রদায়ের লোকজন সমবেত হয়ে তিনজনের মৃতদেহে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মৃতদেহ মারকুলিনে পৌছতেই শুরু হয় কান্নার রোল। এরপর তিনজন মার যুবকের মৃতদেহ সমঝে ফুলেরতল মারকুলিনে সমাধিস্থ করলেন পরিজনরা। এ দিন মারকুলিনে গড়ে তোলা হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুব্রত সেন, লক্ষীপুরের এসডিপিও পার্থপ্রতিম দুয়ারা বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে হাজির ছিলেন। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলে কাছাড় পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই কচুদরম থানা এলাকা থেকে তিনজন মার যুবক যথাক্রমে লালবিকুং মার, লালনউই মার, জসুয়া মারকে পুলিশ একটি অটো রিকশা থেকে গ্রেফতার করেছিল। তাদের ব্যাগে পাওয়া যায় আগ্নেয়াস্ত্র। পরদিন ১৭ জুলাই ভোর রাতে বন্দুকের গুলিতে তাদের মৃত্যু ঘটে। এদের মৃত্যুর পর কাছাড় জেলা পুলিশ সুপার নোমাল মহাতো ঘোষণা করেন এদের কে নিয়ে ভুবন পাহাড়ে তদন্তে নিয়ে যাওয়া হলে একদল উগ্রপন্থী অতর্কিতে গুলি চালায়। সেই গুলি চালনার ঘটনায় এদের মৃত্যু ঘটে। এই ঘটনা মেনে নিতে পারেনি তিন যুবকের পরিবার। তারা এই ঘটনাটি ভূয়ো এনকাউন্টার বলে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন।রিট পিটিশনে ন্যায় বিচারের দাবি করা হয়। গৌহাটি উচ্চ আদালতে পরপর চতুর্থ বার শুনানি গ্রহণ করা হয়। গত বুধবার শুনানির পর উচ্চ আদালত মৃতের পরিবারের কাছে মরদেহ সমঝে দিতে নির্দেশ প্রদান করে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে আজ তিনজনের মৃতদেহ সমঝে নেন তাদের পরিবার পরিজন।