ইয়াসির সভায় ফুটে উঠল আইরংমারার জ্বলন্ত সমস্যা, গঠিত কমিটি

বরাক তরঙ্গ, ৪ আগস্ট : স্থানীয় মেহনতি ও শিক্ষিত যুবকদের আসাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কখনও গুরুত্ব দেয়নি। রবিবার আইরংমারা দুর্গাটিলার দুর্গাবাড়িতে ইয়াসির আয়োজিত সভায় এমন অভিযোগ তুলে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন স্থানীয় যুবকরা। বিশিষ্ট সমাজকর্মী চম্পক দত্ত মজুমদারের সভাপতিত্ব সভায় আইরংমারা জিপির বিভিন্ন প্রান্তের যুবকরা এলাকার বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। আসাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিভিন্ন সেক্টরে, নিয়োগের প্রক্রিয়ায়, স্থানীয় যুবকদের বঞ্চিত করা একটি প্রধান অভিযোগ ছিল এই গুরুত্বপূর্ণ সভায়। এলাকার মেহনতি ও শিক্ষিত যুবকদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ  কখনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। এছাড়াও সভায় কিছু গুরুতর বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ইয়ুথস এগেইনস্ট সোশ্যাল ইভিলস (ইয়াসি) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সঞ্জীব রায়, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) প্রণয় নাগ, কার্যনির্বাহী সদস্য দেবজিৎ দেবনাথ প্রমুখ।

সভায় সঞ্জীব রায় এবং প্রণয় নাগ বক্তব্যে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইয়াসির কাজগুলি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন। তাঁরা বলেন, ইয়াসি এক বড় পরিবার, সমগ্র কাছাড় জেলাজুড়ে এর শিকড় ছড়িয়েছে ও নিষ্ঠার সঙ্গে সমাজের জন্য কাজ করছে। সভায় আইরংমারা শ্রমিক সংস্থাও উপস্থিত ছিলেন।

ইয়াসির সভায় ফুটে উঠল আইরংমারার জ্বলন্ত সমস্যা, গঠিত কমিটি

এ দিনের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রদীপ পাশীকে সভাপতি, পান্না রবিদাস ও রামনাথ গোয়ালাকে সহ-সভাপতি, অমিত পাশীকে সাধারণ সম্পাদক, বাপ্পন কর্মকার ও রঞ্জু দাসকে সহ-সাধারণ সম্পাদক,  রাজা গোয়ালাকে ক্রীড়া সম্পাদক, সংকর রবিদাস কে সাংস্কৃতিক সম্পাদক, চম্পক দত্ত মজুমদারকে  মুখপাত্র ও রাম কুমার পাশীকে কোষাধ্যক্ষ করে সর্বসম্মতিক্রমে ৫১ সদস্যের এক শক্তিশালী ‘ইয়াসি আইরংমারা জিপি কমিটি’ গঠন করা হয়। এর মধ্যেই ৪১ জন কার্যনির্বাহী সদস্য রয়েছেন।

Author

Spread the News